বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় খালাস পেয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এ রায় দেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। খন্দকার মোশাররফ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে নয় জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় দুদক।
আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানিয়েছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টাকা পাচারের কোনো প্রমাণ আদালতে দিতে পারেনি। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। এই মামলার কারণে খন্দকার মোশাররফকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।