চুয়াডাঙ্গা ০১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল তুরস্ক


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনদিন আগে দেশটির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও রাজধানী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগুলকে আটকের পর শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে যেদিন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে, তার পরদিন আগামী ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার কথা ছিল এই রাজনীতিবিদের।

গত শুক্রবার রাতে দেওয়া এক ভাষণে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘রাস্তার সন্ত্রাস কিংবা ধ্বংসোন্মদনার কাছে তার সরকার আত্মসমর্পণ করবে না। জনশৃঙ্খলা ব্যাহত হয়, এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না।’স্থানীয় সময়গতকাল শনিবার দিনের শেষভাগে ইমামোগলুকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। এরআগে গেল তিন ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির পুলিশ।

এরদোগানের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন একরেম ইমামোগলু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ছাড়া আরও শতাধিক রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবারও এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে ইস্তানবুলে হাজার মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

এ ঘটনাকে ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সে বছরের আন্দোলন চলাকালে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছিলেন। এবার বিক্ষোভ দমনে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জমায়েতের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা সহিংসতার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

সূত্র: বিবিসি



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল তুরস্ক

আপডেটঃ ০৮:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনদিন আগে দেশটির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও রাজধানী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগুলকে আটকের পর শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে যেদিন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে, তার পরদিন আগামী ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার কথা ছিল এই রাজনীতিবিদের।

গত শুক্রবার রাতে দেওয়া এক ভাষণে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘রাস্তার সন্ত্রাস কিংবা ধ্বংসোন্মদনার কাছে তার সরকার আত্মসমর্পণ করবে না। জনশৃঙ্খলা ব্যাহত হয়, এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না।’স্থানীয় সময়গতকাল শনিবার দিনের শেষভাগে ইমামোগলুকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। এরআগে গেল তিন ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির পুলিশ।

এরদোগানের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন একরেম ইমামোগলু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ছাড়া আরও শতাধিক রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবারও এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে ইস্তানবুলে হাজার মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

এ ঘটনাকে ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সে বছরের আন্দোলন চলাকালে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছিলেন। এবার বিক্ষোভ দমনে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জমায়েতের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা সহিংসতার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

সূত্র: বিবিসি



Source link