চুয়াডাঙ্গা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারিকরণ করেন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারিকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু আর তারই কন্য শেখ হাসিনা আজকের প্রধনন্ত্রী, বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যামন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপরে মনিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্রসেন্টারে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকবৃন্দদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার প্রধান অথিতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধু প্রথমিক বিদ্যালয় সরকারি করন করেছিলেন। তার পরে ১৯১৩ সাল থেকে সরকারিকরণ আবার শুরু করেন তারই কন্যা শেখ হসিনা।

 

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মাধ্যেমে একটি পরিবার, এলাকা ও জাতির উন্নত হয়। দেশ এগিয়ে যায়। আজকে দেশে শিক্ষার হার প্রায় ৮০% এর বেশি। স্বাধীনতার সময় এই হার ২০% ও ছিল না। সে কারণে আজকে বংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল বটম লেস বাসকেট। কারণ দেশ দরিদ্র অবকাঠামো নাই, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ভালো ছিলোনা । এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু জাতীর জনক বাংলাদেশটা পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করেছিলেন যাতে এদেশের মানুষ পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পাড়ে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে সে জন্য। তার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর পরে আর কোন সরকার প্রথমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ করেনি। পরে তারি কন্যা ক্ষমতায় এসে ২০১৩ সালে আবার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ শুরু করেন।

 

এ সময় মন্ত্রী ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষকদের বলতে বলেন, এই দেশের জাতির জনক কে? প্রধান মন্ত্রী কে? এই দেশ স্বাধীন করেছিল কে? পাক-বাহিনী এখানে কি করেছিল? রাজাকার আলবদরেরা এই দেশে কি করেছিল? এই শত্রু সহ মিত্রদের কেও চিনিয়ে দিতে হবে। আপনারা সমাজ যেভাবে গড়বেন সে ভাবেই গড়ে উঠবে। কারণ পরবর্তী কালে এই ছেলেমেয়েরাই দেশ চালাবে, শিক্ষক হবে, রাজনৈতিক ব্যক্তি হবে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, ব্যবসায়ী হবে, তারাই দেশ চালাবে। কাজেই আপনাদের ছোট থেকেই তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

 

রাজাকার আলবদরা এদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারা ২ লক্ষ মা বোনকে পাকিস্থানি হানাদারদের কাছে তুলে দিয়েছিল। সেই গোষ্ঠী কিন্তু আজও তারা আছে। যারা গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা করে। যারা বংলা ভাই সৃষ্টি করে। অগ্নি সন্ত্রাস করে। তারা এই দেশটার উন্নয়নের কথা ভাবেনা। সে জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় লাভ করাতে বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, রাজাকার আলবদরা এদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারা ২ লক্ষ মা বোনকে পাকিস্থানি হানাদারদের কাছে তুলে দিয়েছিল। সেই গোষ্ঠী কিন্তু আজও তারা আছে। যারা গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা করে। যারা বংলা ভাই সৃষ্টি করে। অগ্নি সন্ত্রাস করে। তারা এই দেশটার উন্নয়নের কথা ভাবে না।

 

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সালাম, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলার ইউএনও জৈতিশ্যর পাল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারিকরণ করেন

আপডেটঃ ০৮:০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারিকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু আর তারই কন্য শেখ হাসিনা আজকের প্রধনন্ত্রী, বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যামন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপরে মনিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্রসেন্টারে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকবৃন্দদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার প্রধান অথিতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধু প্রথমিক বিদ্যালয় সরকারি করন করেছিলেন। তার পরে ১৯১৩ সাল থেকে সরকারিকরণ আবার শুরু করেন তারই কন্যা শেখ হসিনা।

 

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মাধ্যেমে একটি পরিবার, এলাকা ও জাতির উন্নত হয়। দেশ এগিয়ে যায়। আজকে দেশে শিক্ষার হার প্রায় ৮০% এর বেশি। স্বাধীনতার সময় এই হার ২০% ও ছিল না। সে কারণে আজকে বংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল বটম লেস বাসকেট। কারণ দেশ দরিদ্র অবকাঠামো নাই, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ভালো ছিলোনা । এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু জাতীর জনক বাংলাদেশটা পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করেছিলেন যাতে এদেশের মানুষ পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পাড়ে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে সে জন্য। তার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর পরে আর কোন সরকার প্রথমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ করেনি। পরে তারি কন্যা ক্ষমতায় এসে ২০১৩ সালে আবার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ শুরু করেন।

 

এ সময় মন্ত্রী ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষকদের বলতে বলেন, এই দেশের জাতির জনক কে? প্রধান মন্ত্রী কে? এই দেশ স্বাধীন করেছিল কে? পাক-বাহিনী এখানে কি করেছিল? রাজাকার আলবদরেরা এই দেশে কি করেছিল? এই শত্রু সহ মিত্রদের কেও চিনিয়ে দিতে হবে। আপনারা সমাজ যেভাবে গড়বেন সে ভাবেই গড়ে উঠবে। কারণ পরবর্তী কালে এই ছেলেমেয়েরাই দেশ চালাবে, শিক্ষক হবে, রাজনৈতিক ব্যক্তি হবে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, ব্যবসায়ী হবে, তারাই দেশ চালাবে। কাজেই আপনাদের ছোট থেকেই তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

 

রাজাকার আলবদরা এদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারা ২ লক্ষ মা বোনকে পাকিস্থানি হানাদারদের কাছে তুলে দিয়েছিল। সেই গোষ্ঠী কিন্তু আজও তারা আছে। যারা গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা করে। যারা বংলা ভাই সৃষ্টি করে। অগ্নি সন্ত্রাস করে। তারা এই দেশটার উন্নয়নের কথা ভাবেনা। সে জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় লাভ করাতে বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, রাজাকার আলবদরা এদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারা ২ লক্ষ মা বোনকে পাকিস্থানি হানাদারদের কাছে তুলে দিয়েছিল। সেই গোষ্ঠী কিন্তু আজও তারা আছে। যারা গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা করে। যারা বংলা ভাই সৃষ্টি করে। অগ্নি সন্ত্রাস করে। তারা এই দেশটার উন্নয়নের কথা ভাবে না।

 

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সালাম, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলার ইউএনও জৈতিশ্যর পাল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।