মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকার পুরাতন ট্রলারঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার নিরব বেপারীর সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব রাস্তি এলাকার নাঈম ভুইয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রাতে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রিফাত ঢালী নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যরা হলেন- মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস মোল্লা, সুমন খান, রমজান আলী সজল, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম খান ও কামরুল ইসলাম খান।
নাম না প্রকাশ করে স্থানীয় কয়েকজন, হঠাৎ করেই অর্ধশত লোক দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহতও আছে। এছাড়া এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত নীরব বেপারী ও নাঈম ভুইয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এএসএম