চুয়াডাঙ্গা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজনির সংকটময় এক সময়ে জন্ম মিকি মাউসের


মিকি মাউস, নামটির সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষ কমই আছেন। আপনি নব্বই দশকের জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়ালস, কিংবা জেন-জি হন মিকি মাউস কার্টুনটি দেখে দুপুর কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। জানেন কি? আজ মিকি মাউসের জন্মদিন। জেনারেশন হিসাব করলে মিকি মাউসও কিন্তু সাইলেন্ট জেনারেশনের কাতারে পড়ে।

মিকি মাউস, ডিজনি সাম্রাজ্যের এক অনন্য প্রতীক এবং বিনোদনের ইতিহাসে এক মাইলফলক। ১৯২৮ সালের ১৮ নভেম্বর ওয়াল্ট ডিজনি এবং উব আইওয়ার্কসের হাতে জন্ম নেওয়া এই কার্টুন চরিত্রটি তার প্রথম প্রদর্শনী ‘স্টিমবোট উইলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীকে মুগ্ধ করে। সেই থেকে শুরু, প্রায় এক শতাব্দী পরেও মিকি মাউস সবার মনে একই রকম ভালোবাসা ও আনন্দ ছড়িয়ে যাচ্ছে।

মিকি মাউসের জন্ম এক সংকটকালীন সময়ে। ওয়াল্ট ডিজনি এবং তার সঙ্গী উব আইওয়ার্কস তাদের প্রথম সফল চরিত্র ‘অসওয়াল্ড দ্য লাকি র্যাবিট’ হারানোর পর নতুন কিছু তৈরির জন্য কাজ শুরু করেন। তখনই উদ্ভাবিত হয় এক ছোট, চঞ্চল, এবং দুষ্টু প্রকৃতির ইঁদুর মিকি মাউসের।

সময়টা তখন ১৯২৮ সাল, স্টিমবোয়ট উইলি প্রথম সাউন্ড সিঙ্ক্রোনাইজড অ্যানিমেশন হিসেবে প্রদর্শিত হয়, যা মিকির জনপ্রিয়তার ভিত্তি গড়ে তোলে। মিকি মাউসের সবচেয়ে বড় শক্তি তার ব্যক্তিত্ব। সাহসী, চঞ্চল, বন্ধুভাবাপন্ন এবং দুষ্টুমি প্রিয়। তার সহজাত আশাবাদ এবং সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা তাকে শিশুদের কাছে আদর্শ চরিত্র হিসেবে তুলে ধরেছে। মিকির চেনা রূপ-বড় কালো কান, লাল শর্টস, হলুদ জুতা এবং সাদা গ্লাভস-আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

আরও পড়ুন

মিকি মাউস শুধু একটি কার্টুন চরিত্র নয়; এটি বিশ্ব সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ। শুধু যে শিশুদের বিনোদন দেয়, তা নয়। বরং মানুষের আশাবাদ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছে মিকি। মিকির জনপ্রিয়তা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং পণ্য বিপণনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

১৯৩০-এর দশকে মিকি মাউস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং একাধিক কমিক বই, টিভি সিরিজ, এবং মুভিতে উপস্থিত হয়। ১৯৭৮ সালে, মিকি প্রথম অ্যানিমেটেড চরিত্র হিসেবে হলিউড ওয়াক অফ ফেমে স্থান অর্জন করে।

ডিজনির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনি একবার বলেছিলেন, ‘ইট অল স্টার্টেড উইথ অ্যা মাইস’। এটি নিছক কথার কথা নয়। ডিজনি সাম্রাজ্যের সূচনা এবং আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর পিছনে মিকি মাউসের অবদান অপরিসীম। মিকির জনপ্রিয়তা ডিজনিকে শুধু অ্যানিমেশনই নয়, বরং পার্ক, টেলিভিশন এবং লাইসেন্সিংয়ের জগতে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছে।

বর্তমান যুগেও মিকি মাউসের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ। ডিজনির এনিমেটেড সিরিজ এবং ডিজনি প্লাস প্ল্যাটফর্মে মিকি নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিভিন্ন থিম পার্কে মিকির উপস্থিতি তাকে জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত করেছে।

যদিও মিকি মাউস সর্বজনীনভাবে জনপ্রিয়, তবুও তার ঐতিহাসিক কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। ১৯২৮ থেকে ১৯৩০-এর দশকের শুরুর দিকে মিকি কখনো কখনো বিদ্রূপাত্মক এবং দুষ্ট প্রকৃতির চরিত্রে উপস্থাপিত হত। পরবর্তী সময়ে, মিকিকে আরও নৈতিক এবং ইতিবাচক চরিত্রে রূপান্তরিত করা হয়।

আরও পড়ুন

সূত্র: ব্রিটানিকা

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ডিজনির সংকটময় এক সময়ে জন্ম মিকি মাউসের

আপডেটঃ ০৪:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪


মিকি মাউস, নামটির সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষ কমই আছেন। আপনি নব্বই দশকের জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়ালস, কিংবা জেন-জি হন মিকি মাউস কার্টুনটি দেখে দুপুর কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। জানেন কি? আজ মিকি মাউসের জন্মদিন। জেনারেশন হিসাব করলে মিকি মাউসও কিন্তু সাইলেন্ট জেনারেশনের কাতারে পড়ে।

মিকি মাউস, ডিজনি সাম্রাজ্যের এক অনন্য প্রতীক এবং বিনোদনের ইতিহাসে এক মাইলফলক। ১৯২৮ সালের ১৮ নভেম্বর ওয়াল্ট ডিজনি এবং উব আইওয়ার্কসের হাতে জন্ম নেওয়া এই কার্টুন চরিত্রটি তার প্রথম প্রদর্শনী ‘স্টিমবোট উইলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীকে মুগ্ধ করে। সেই থেকে শুরু, প্রায় এক শতাব্দী পরেও মিকি মাউস সবার মনে একই রকম ভালোবাসা ও আনন্দ ছড়িয়ে যাচ্ছে।

মিকি মাউসের জন্ম এক সংকটকালীন সময়ে। ওয়াল্ট ডিজনি এবং তার সঙ্গী উব আইওয়ার্কস তাদের প্রথম সফল চরিত্র ‘অসওয়াল্ড দ্য লাকি র্যাবিট’ হারানোর পর নতুন কিছু তৈরির জন্য কাজ শুরু করেন। তখনই উদ্ভাবিত হয় এক ছোট, চঞ্চল, এবং দুষ্টু প্রকৃতির ইঁদুর মিকি মাউসের।

সময়টা তখন ১৯২৮ সাল, স্টিমবোয়ট উইলি প্রথম সাউন্ড সিঙ্ক্রোনাইজড অ্যানিমেশন হিসেবে প্রদর্শিত হয়, যা মিকির জনপ্রিয়তার ভিত্তি গড়ে তোলে। মিকি মাউসের সবচেয়ে বড় শক্তি তার ব্যক্তিত্ব। সাহসী, চঞ্চল, বন্ধুভাবাপন্ন এবং দুষ্টুমি প্রিয়। তার সহজাত আশাবাদ এবং সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা তাকে শিশুদের কাছে আদর্শ চরিত্র হিসেবে তুলে ধরেছে। মিকির চেনা রূপ-বড় কালো কান, লাল শর্টস, হলুদ জুতা এবং সাদা গ্লাভস-আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

আরও পড়ুন

মিকি মাউস শুধু একটি কার্টুন চরিত্র নয়; এটি বিশ্ব সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ। শুধু যে শিশুদের বিনোদন দেয়, তা নয়। বরং মানুষের আশাবাদ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছে মিকি। মিকির জনপ্রিয়তা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং পণ্য বিপণনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

১৯৩০-এর দশকে মিকি মাউস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং একাধিক কমিক বই, টিভি সিরিজ, এবং মুভিতে উপস্থিত হয়। ১৯৭৮ সালে, মিকি প্রথম অ্যানিমেটেড চরিত্র হিসেবে হলিউড ওয়াক অফ ফেমে স্থান অর্জন করে।

ডিজনির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনি একবার বলেছিলেন, ‘ইট অল স্টার্টেড উইথ অ্যা মাইস’। এটি নিছক কথার কথা নয়। ডিজনি সাম্রাজ্যের সূচনা এবং আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর পিছনে মিকি মাউসের অবদান অপরিসীম। মিকির জনপ্রিয়তা ডিজনিকে শুধু অ্যানিমেশনই নয়, বরং পার্ক, টেলিভিশন এবং লাইসেন্সিংয়ের জগতে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছে।

বর্তমান যুগেও মিকি মাউসের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ। ডিজনির এনিমেটেড সিরিজ এবং ডিজনি প্লাস প্ল্যাটফর্মে মিকি নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিভিন্ন থিম পার্কে মিকির উপস্থিতি তাকে জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত করেছে।

যদিও মিকি মাউস সর্বজনীনভাবে জনপ্রিয়, তবুও তার ঐতিহাসিক কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। ১৯২৮ থেকে ১৯৩০-এর দশকের শুরুর দিকে মিকি কখনো কখনো বিদ্রূপাত্মক এবং দুষ্ট প্রকৃতির চরিত্রে উপস্থাপিত হত। পরবর্তী সময়ে, মিকিকে আরও নৈতিক এবং ইতিবাচক চরিত্রে রূপান্তরিত করা হয়।

আরও পড়ুন

সূত্র: ব্রিটানিকা

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link