চুয়াডাঙ্গা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলে মোখার ‘প্রভাব শুরু’

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

 

রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এদিকে সেন্টমার্টিনের স্থায়ী বাসিন্দা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজির আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবে খুবই হালকা। বাতাস তেমন নেই।
ঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, এখন পর্যন্ত এমন কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশটি ভাংবাড়িয়ার টিকটকার মুন্নির

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

উপকূলে মোখার ‘প্রভাব শুরু’

প্রকাশ : ০৭:০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

 

রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এদিকে সেন্টমার্টিনের স্থায়ী বাসিন্দা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজির আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবে খুবই হালকা। বাতাস তেমন নেই।
ঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, এখন পর্যন্ত এমন কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।