চুয়াডাঙ্গা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবে


মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) একক রেট নির্ধারণ করতে পারলে ফাঁকি বা লিকেজ অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। একইসঙ্গে যে-সব জায়গায় কর ছাড় দেওয়া রয়েছে, তা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর ছাড় কমানোর বিকল্প নেই। কাউকে কর ছাড় দেওয়া আর কাউকে না দেওয়া এক ধরনের বৈষম্য। যদিও কর ছাড় জনস্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে অতিরিক্ত ছাড়ও দিয়েছি। ধীরে ধীরে এটি যৌক্তিকীকরণ করতে হবে। কর ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। এখান থেকে বের হতে না পারলে রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আমাদের মূল ম্যাসেজ হলো, একক রেটে ভ্যাট নির্ধারণ করলে ভালো হয়। এতে লিকেজ অনেক কমে যায় এবং বাস্তবায়ন সহজ হয়। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেব।”

তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কর অব্যাহতির বিষয়টি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডিম, ভোজ্য তেল ও খেঁজুরের ওপর কর প্রত্যাহার করায় কর আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এটি জনস্বার্থে করতে হয়েছে। রিজার্ভ কমে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাজারে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, পরিস্থিতি উন্নতি হলে ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আয়কর নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ হলেও ভ্যাট নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা মাত্র ৫ লাখ। এটি অত্যন্ত কম। আমি সম্মানিত করদাতাদের ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানাব। কারণ এখন ঘরে বসেই ভ্যাট নিবন্ধন, পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করা যাবে। আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করনেট বাড়াতে হবে। ডোর-টু-ডোর কার্যক্রম পরিচালনা করব। যদি ভ্যাট নেটের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি, তবে ছয় মাসের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। আমাদের এই সংকট থেকে উত্তরণে আর কোনো বিকল্প নেই।”

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করদাতাদের প্রতি সততার সঙ্গে সেবা দিতে হবে। করদাতারা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, তাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।”

এনবিআর জানায়, ভ্যাট ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও ১০ ডিসেম্বর “ভ্যাট দিবস” এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর “ভ্যাট সপ্তাহ” উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য, “ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে”, যা জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবে

আপডেটঃ ০৮:২৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪


মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) একক রেট নির্ধারণ করতে পারলে ফাঁকি বা লিকেজ অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। একইসঙ্গে যে-সব জায়গায় কর ছাড় দেওয়া রয়েছে, তা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর ছাড় কমানোর বিকল্প নেই। কাউকে কর ছাড় দেওয়া আর কাউকে না দেওয়া এক ধরনের বৈষম্য। যদিও কর ছাড় জনস্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে অতিরিক্ত ছাড়ও দিয়েছি। ধীরে ধীরে এটি যৌক্তিকীকরণ করতে হবে। কর ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। এখান থেকে বের হতে না পারলে রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আমাদের মূল ম্যাসেজ হলো, একক রেটে ভ্যাট নির্ধারণ করলে ভালো হয়। এতে লিকেজ অনেক কমে যায় এবং বাস্তবায়ন সহজ হয়। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেব।”

তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কর অব্যাহতির বিষয়টি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডিম, ভোজ্য তেল ও খেঁজুরের ওপর কর প্রত্যাহার করায় কর আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এটি জনস্বার্থে করতে হয়েছে। রিজার্ভ কমে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাজারে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, পরিস্থিতি উন্নতি হলে ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আয়কর নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ হলেও ভ্যাট নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা মাত্র ৫ লাখ। এটি অত্যন্ত কম। আমি সম্মানিত করদাতাদের ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানাব। কারণ এখন ঘরে বসেই ভ্যাট নিবন্ধন, পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করা যাবে। আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করনেট বাড়াতে হবে। ডোর-টু-ডোর কার্যক্রম পরিচালনা করব। যদি ভ্যাট নেটের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি, তবে ছয় মাসের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। আমাদের এই সংকট থেকে উত্তরণে আর কোনো বিকল্প নেই।”

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করদাতাদের প্রতি সততার সঙ্গে সেবা দিতে হবে। করদাতারা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, তাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।”

এনবিআর জানায়, ভ্যাট ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও ১০ ডিসেম্বর “ভ্যাট দিবস” এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর “ভ্যাট সপ্তাহ” উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য, “ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে”, যা জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।





Source link