চুয়াডাঙ্গা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন


রোহিঙ্গা নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এই নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেনি। আর যা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বিগত সরকারের চুক্তি অকার্যকর ছিল। একটি দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুলে যেতে দেয়া যাবে না যে, রোহিঙ্গা এখনও আছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে আর তারা তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মিয়ানমার তাদেরকে খুশি মনে মেনে নেয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এ ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্থানীয়রা যাতে অবহেলিত না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

এসময় আরাকান আর্মির সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কারণ মিয়ানমারে তাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না তবে কেউ গায়ে পড়লে যাতে তার জবাব দিতে পারি তার প্রস্তুতি রাখতে হবে।

আরএস





সুত্র আমার সংবাদ

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন

আপডেটঃ ১০:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪


রোহিঙ্গা নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এই নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেনি। আর যা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বিগত সরকারের চুক্তি অকার্যকর ছিল। একটি দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুলে যেতে দেয়া যাবে না যে, রোহিঙ্গা এখনও আছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে আর তারা তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মিয়ানমার তাদেরকে খুশি মনে মেনে নেয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এ ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্থানীয়রা যাতে অবহেলিত না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

এসময় আরাকান আর্মির সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কারণ মিয়ানমারে তাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না তবে কেউ গায়ে পড়লে যাতে তার জবাব দিতে পারি তার প্রস্তুতি রাখতে হবে।

আরএস





সুত্র আমার সংবাদ