চুয়াডাঙ্গা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা টিকলো মাত্র ৮৩ বল, ৪২ রান


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাত্র ৪২ রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ডারবানে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাত্র ১৩.৫ ওভারেই লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান।

একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও কোনো দলের সর্বনিম্ন। আর বলের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটি টেস্ট ইতিহাসের দেড়শ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

এই ইনিংসের আগে টেস্টে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রানটি এসেছিল ১৯৯৪ সালে। ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডসহ টেস্ট খেলুড়ে ৯টি দলেরই ৫০ রানের মধ্যে অলআউট হওয়ার ‘রেকর্ড’ ছিল এতদিন। বাকি ছিল টেস্টের নতুন দল আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে (৫১ রানে অলআউটের রেকর্ড আছে) ও শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ডারবানের কিংসমিডে শ্রীলঙ্কাকে পঞ্চাশের কমে অলআউটের সেই তালিকায় নাম লেখিয়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেনের মাত্র ৬ দশমিক ৫ ওভারেই বলা যায় শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে। তার করা ৪১ বলে মাত্র ১৩ রান তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। বিনিময়ে তিনি শিকার করেছেন ৭ উইকেট। অর্থাৎ ইয়ানসেনের বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছে ১৩/৬। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র ২ জন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৫ জন।

দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৯১ রানে গুটিয়ে দিয়ে বেশ স্বস্তিতেই ছিল লঙ্কানরা। কিন্তু আনন্দ মিলিয়ে যেতে শুরু করে ব্যাটিংয়ের তৃতীয় ওভার থেকে। ওই ওভারের শেষ বলে কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। পরের ওভারে ইয়ানসেন এসে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পাতুম নিশাঙ্কাকে। ৩ বলের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পথ ধরে শুরু হয় একের পর এক ব্যাটারদের আসা–যাওয়ার মিশন!

অবশ্য ১৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। স্কোরবোর্ডে যখন ৩২ রান, মেন্ডিসকে প্রথম স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোয়েৎজি।

ওই ৩২ রানেই শ্রীলঙ্কা হারায় ষষ্ঠ, সপ্তম, এমনকি অষ্টম উইকেটও। টেস্টের সর্বনিম্ন রান (২৬, নিউজিল্যান্ড) অবশ্য ততক্ষণে পেছনে। তবে ৩২ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর পঞ্চাশের কমে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগে ওঠে প্রবলভাবেই। লাহিরু কুমারা ও বিশ্ব ফার্নান্ডো ১০ রানের একটি জুটি গড়লেও ইয়ানসেন এসে ২ বলের মধ্যে তুলে নেন শেষ ২ উইকেটই। শ্রীলঙ্কা থামে ১৩ দশমিক ৫ ওভারে ৪২ রানে, টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানের স্কোর আছে মাত্র পাঁচটি।

আর টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম বলের ইনিংস আছে একটিই। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টে ১২ দশমিক ৫ ওভার বা ৭৫ বলে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

এ যাত্রায় শ্রীলঙ্কাকে সেটি গছিয়ে দিতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিকই তাদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের অস্বস্তিতে ফেলেছে এশিয়ান দেশটিকে। প্রোটিয়ারা এর আগে ২০১৩ সালে কেপটাউনে সর্বনিম্ন ৪৫ রানে অলআউট করতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ডকে।

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা টিকলো মাত্র ৮৩ বল, ৪২ রান

প্রকাশ : ১১:৫৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাত্র ৪২ রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ডারবানে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাত্র ১৩.৫ ওভারেই লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান।

একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও কোনো দলের সর্বনিম্ন। আর বলের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটি টেস্ট ইতিহাসের দেড়শ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

এই ইনিংসের আগে টেস্টে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রানটি এসেছিল ১৯৯৪ সালে। ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডসহ টেস্ট খেলুড়ে ৯টি দলেরই ৫০ রানের মধ্যে অলআউট হওয়ার ‘রেকর্ড’ ছিল এতদিন। বাকি ছিল টেস্টের নতুন দল আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে (৫১ রানে অলআউটের রেকর্ড আছে) ও শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ডারবানের কিংসমিডে শ্রীলঙ্কাকে পঞ্চাশের কমে অলআউটের সেই তালিকায় নাম লেখিয়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেনের মাত্র ৬ দশমিক ৫ ওভারেই বলা যায় শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে। তার করা ৪১ বলে মাত্র ১৩ রান তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। বিনিময়ে তিনি শিকার করেছেন ৭ উইকেট। অর্থাৎ ইয়ানসেনের বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছে ১৩/৬। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র ২ জন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৫ জন।

দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৯১ রানে গুটিয়ে দিয়ে বেশ স্বস্তিতেই ছিল লঙ্কানরা। কিন্তু আনন্দ মিলিয়ে যেতে শুরু করে ব্যাটিংয়ের তৃতীয় ওভার থেকে। ওই ওভারের শেষ বলে কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। পরের ওভারে ইয়ানসেন এসে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পাতুম নিশাঙ্কাকে। ৩ বলের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পথ ধরে শুরু হয় একের পর এক ব্যাটারদের আসা–যাওয়ার মিশন!

অবশ্য ১৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। স্কোরবোর্ডে যখন ৩২ রান, মেন্ডিসকে প্রথম স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোয়েৎজি।

ওই ৩২ রানেই শ্রীলঙ্কা হারায় ষষ্ঠ, সপ্তম, এমনকি অষ্টম উইকেটও। টেস্টের সর্বনিম্ন রান (২৬, নিউজিল্যান্ড) অবশ্য ততক্ষণে পেছনে। তবে ৩২ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর পঞ্চাশের কমে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগে ওঠে প্রবলভাবেই। লাহিরু কুমারা ও বিশ্ব ফার্নান্ডো ১০ রানের একটি জুটি গড়লেও ইয়ানসেন এসে ২ বলের মধ্যে তুলে নেন শেষ ২ উইকেটই। শ্রীলঙ্কা থামে ১৩ দশমিক ৫ ওভারে ৪২ রানে, টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানের স্কোর আছে মাত্র পাঁচটি।

আর টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম বলের ইনিংস আছে একটিই। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টে ১২ দশমিক ৫ ওভার বা ৭৫ বলে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

এ যাত্রায় শ্রীলঙ্কাকে সেটি গছিয়ে দিতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিকই তাদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের অস্বস্তিতে ফেলেছে এশিয়ান দেশটিকে। প্রোটিয়ারা এর আগে ২০১৩ সালে কেপটাউনে সর্বনিম্ন ৪৫ রানে অলআউট করতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ডকে।