ওভারের শেষ বলটা যেন জয়-পরাজয় লিখে দেবে- এমন গভীর মনোযোগে তাকিয়ে সবাই। তাকিয়ে বোলার জিমি নিশাম আর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের দিকে। আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংসে সেটি শেষ বল।
নিশাম বলটি ফেললেন অফ স্টাম্পের বাইরে। বাবর খেললেন কাভারের ওপর দিয়ে। বল গড়িয়ে বাউন্ডারি পার হতেই শূন্যে এক লাফ দিলেন বাবর। উচ্ছ্বাসে লাফালেন ডাগআউটে থাকা পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রাও। এ যে বিশ্বরেকর্ডের মুহুর্ত।
ইনিংসের শেষ বলে নিশামকে চার মেরে বাবর স্পর্শ করেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তিনটিই অধিনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে তিন সেঞ্চুরি এই প্রথম। দুটি করে সেঞ্চুরি নিয়ে এত দিন বাবরের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা ও সুইজারল্যান্ডের ফাহিম নাজির।
বাবরের সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডের রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ রানের জয়ও পেয়েছে পাকিস্তান। বাবরের অপরাজিত ১০১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫০ রানে ভর করে পাকিস্তান তুলেছিল ৪ উইকেটে ১৯২ রান। তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে।
লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলেছিল পাকিস্তান। একদিন পর যেন সেখান থেকেই শুরু করেন বাবর-রিজওয়ান। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৯৯ রান।
৬ চার ১ ছয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ান। তুলনায় বাবরের পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৩ বল বেশি লেগেছে। এর মাঝেই অবশ্য ৭ বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে একা হাতে পাকিস্তানকে দুই শর কাছে নিয়ে যান বাবর।
শেষ ওভারে নিশামের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাবরের রান ছিল ৮৪। তৃতীয় বলে ছয়, পঞ্চম বলে চার আর একটি করে ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে শেষ বলে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে। যে বলটিকে কাভার দিয়ে বাউন্ডারি পার করিয়ে নাম লেখান বিশ্বরেকর্ডে। ৫৮ বলের ইনিংসটিতে ১১ চারের সঙ্গে ছিল ৩ ছয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির তিন নম্বর সেঞ্চুরির সুবাদে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন বাবর। ক্রিস গেইলের ২২ সেঞ্চুরির পর বাবরের ৯ সেঞ্চুরিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।