টানা তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বাজারে ঈদের কেনাকাটায় ছেদ পড়েছে। প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত পাঁচদিন থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সূর্যের গনগনে আঁচে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সূর্যের আঁচ আরো বেড়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গতকাল বৃহস্পতিবাবের চাইতে দশমিক ৫ ডিগ্রী বেশী। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমান ছিলো ২৬ শতাংশ। এটি চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
গতকাল বৃহ¯পতিবার (৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, গত কয়েক দিন থেকে চুয়াডাঙ্গা ও এর আশপাশ এলাকার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আজ শুক্রবার দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস আরিচায়।
গত রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, তীব্র গরম ও রোজার কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। ঘরে বসেই বিশ্রাম নিচ্ছে মানুষ। ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।