চুয়াডাঙ্গা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী তাপমাত্রায় তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু ও মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তীব্র তাপদাহ চলছে। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতা‌সের আদ্রতা ছি‌লো ১৪ শতাংশ।

 

জেলা প্রশাসন থেকেও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

এ নিয় টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক  জীবনযাত্রা।     তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

 

তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা। আজ শুক্রবার বেলা ৩ টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায় । এটি চলতি মৌসুমের জেলা ও দে‌শের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে।

 

গত ২ এপ্রিল রোববার থেকে এক টানা ১৩ দিন চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্র মাত্রা হলো রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার  ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস এবং  সর্বশেষ আজ শুক্রবার ৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

 

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে অধিকমূল্যে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী তাপমাত্রায় তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশ : ০৪:০২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু ও মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তীব্র তাপদাহ চলছে। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতা‌সের আদ্রতা ছি‌লো ১৪ শতাংশ।

 

জেলা প্রশাসন থেকেও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

এ নিয় টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক  জীবনযাত্রা।     তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

 

তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা। আজ শুক্রবার বেলা ৩ টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায় । এটি চলতি মৌসুমের জেলা ও দে‌শের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে।

 

গত ২ এপ্রিল রোববার থেকে এক টানা ১৩ দিন চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্র মাত্রা হলো রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার  ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস এবং  সর্বশেষ আজ শুক্রবার ৪১ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

 

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।