চলতি মাসের দুই সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। প্রচন্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন। চরম দুর্ভোগে পড়েছে রমজান মাসে এমন অবস্থার হওয়ায় রোজদার ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ।শিশু আর বৃদ্ধদের অবস্থা একেবারে কাহিল। দুপুর হলেই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কখন আসবে সে খবরও কারো জানা নেই। বেড়েগেছে হাতপাখার কদর।
দোকান গুলোতে ভিড়লেগে গেছে তাল পাতার হাতপাখা বিক্রির। হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। দিনে ও রাতে প্রায় ১০/১২ ঘন্টা থাকছে লোডসেডিং। লোডসেডিং থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা ঈফতার ও সেহেরীর সময় টুকু ও। গত (২এপ্রিল) রোববার থেকে এক টানা ১৫ দিন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্র মাত্রা হলো রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস, শুক্রবার তীব্র তাপদাহ ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বশেষ আজ শনিবার অতি তীব্র তাপদাহ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী ও রোববার ৪২দশমিক ৮ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এরই মধ্যে শুক্রবার প্রচন্ড ভ্যপসা গরমে যখন মানুষ ঘরে গরমে হাঁসফাঁস করছে ঘরে থাকতে পারছেনা এমন সময় শুরু হয়েছে লোডসেডিং। (১৪এপ্রিল) রাত থেকে শুরু হওয়া লোডসেডিং দিনে রাতে ১০/১২ ঘন্টা হচ্ছে লোডসেডিং।শুক্রবার দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং প্রতিবার ঘন্টার বেশি বন্ধ থাকলে ও ইফতার ও সেহেরির কিছু সময় ও পড়ছে লোডশেডিংএর আওতায়।এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে রোজদারগন। য়েখানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজনে বের হলে কালো পোশাক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ছাতা সাদা পোশাকসহ ঢিলে ঢালা পোশাক ব্যবহার সহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এমন সময় দিনে প্রচন্ড গরমে লোডশেডিংএর ফলে প্রচন্ড গরম সয্য করতে না পেরে নারী/পুরুষ সকলেই একটু সত্বিও জন্য বাবা বার টিউবলেলের ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মাথা ভিজাচ্ছেন। অনেক নারীরা বাড়ী আঙ্গীনায় গছের নিচে বসছেন। পুরুষরা বাড়ীর আশেপাশের বাগানে অবস্থান করে সময় কাটাচ্ছেন।