চুয়াডাঙ্গা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সাত কলেজে এখনো শিক্ষক, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে’

সাত কলেজে এখনো শিক্ষক স্বল্পতা, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২১-২২) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয় সাড়ে ৪টায়।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকেরা আমাদের বলেন- ছেলেমেয়েরা এখন নিয়মিত ক্লাসে আসে। তারা পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে না বরং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে ৷ এ বিষয়গুলো একটি ইঙ্গিত দেয় যে, সামগ্রিকভাবে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ার পথে আছে ৷ হয়তো আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। কেননা সাত কলেজে এখনো শিক্ষক স্বল্পতা আছে, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে৷ এগুলো বাস্তবতা।

অধিভুক্তির ৫ বছরে শিক্ষার গুণগত মান কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই মূল্যায়নের সুযোগ এখনো হয়নি ৷ এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে ৷ একইসঙ্গে আমাদের নানাবিধ প্রয়াস আছে ৷

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয় যে, আমাদের আরো দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের প্রতি তাদের যে আস্থা, তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, গুণগত মান ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়ন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে৷

তিনি বলেন, আমরা কলেজগুলোকে অনুরোধ করেছি একাডেমিক কাউন্সিলে এসে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে যেন সুপারিশ দেন। আমরা সরকারের মাধ্যমে সাত কলেজের সামগ্রিক অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরির জন্য কাজ করব।

উপাচার্য বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের মান এবং পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, আমি দুটো কক্ষ পরিদর্শন করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে প্রশ্নপত্রের মান কেমন হয়েছে এবং কোনো ভুল-ভ্রান্তি আছে কি না, তা পরীক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছি। প্রশ্নের মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছেলেমেয়েরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে, তাদের পরীক্ষা ভালো হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।

রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-১, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-২, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকনোমিক্স কলেজ), আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইল্‌স‌ লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ ও মতিঝিল গভ. বয়েজ হাই স্কুল।

বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৫০০টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৫১৭টি। আর সবমিলিয়ে সাত কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন রয়েছে ২১ হাজার ৫১৩টি।

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে অধিকমূল্যে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

‘সাত কলেজে এখনো শিক্ষক, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে’

প্রকাশ : ১০:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

সাত কলেজে এখনো শিক্ষক স্বল্পতা, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২১-২২) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয় সাড়ে ৪টায়।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকেরা আমাদের বলেন- ছেলেমেয়েরা এখন নিয়মিত ক্লাসে আসে। তারা পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে না বরং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে ৷ এ বিষয়গুলো একটি ইঙ্গিত দেয় যে, সামগ্রিকভাবে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ার পথে আছে ৷ হয়তো আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। কেননা সাত কলেজে এখনো শিক্ষক স্বল্পতা আছে, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সংকট আছে৷ এগুলো বাস্তবতা।

অধিভুক্তির ৫ বছরে শিক্ষার গুণগত মান কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই মূল্যায়নের সুযোগ এখনো হয়নি ৷ এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে ৷ একইসঙ্গে আমাদের নানাবিধ প্রয়াস আছে ৷

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয় যে, আমাদের আরো দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের প্রতি তাদের যে আস্থা, তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, গুণগত মান ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়ন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে৷

তিনি বলেন, আমরা কলেজগুলোকে অনুরোধ করেছি একাডেমিক কাউন্সিলে এসে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে যেন সুপারিশ দেন। আমরা সরকারের মাধ্যমে সাত কলেজের সামগ্রিক অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরির জন্য কাজ করব।

উপাচার্য বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের মান এবং পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, আমি দুটো কক্ষ পরিদর্শন করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে প্রশ্নপত্রের মান কেমন হয়েছে এবং কোনো ভুল-ভ্রান্তি আছে কি না, তা পরীক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছি। প্রশ্নের মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছেলেমেয়েরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে, তাদের পরীক্ষা ভালো হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।

রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-১, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-২, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকনোমিক্স কলেজ), আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইল্‌স‌ লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ ও মতিঝিল গভ. বয়েজ হাই স্কুল।

বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৫০০টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৫১৭টি। আর সবমিলিয়ে সাত কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন রয়েছে ২১ হাজার ৫১৩টি।