নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ‘ডাকাত বাহিনী’কে চাঁদা না দেয়ায় ট্রলার মালিক যুবদলের নেতা মো. ইউনুস আলী এরশাদকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন এরশাদের তিন ভাই জহির উদ্দিন (৩৩), নিজাম উদ্দিন (২৮) ও ফরহাদ (২৪)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাটে এরশাদকে ছুরিকাঘাত করা হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মো. ইউনুস আলী এরশাদ (৪০) দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছ গ্রামের রইছুল হকের ছেলে। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। একই ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। তিন সন্তানের জনক এরশাদ পেশায় নৌকার মাঝি এবং মাছ ধরার ট্রলারের মালিক ছিলেন।
নিহতের আরেক ভাই সামছুদ্দিন (৩০) বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাই দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাটে লিজ নেয়া ভিটায় দোকানঘর নির্মাণ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় জলদস্যু নিজামের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্য সমীর, জাবেদ, ওবায়েদ, জিয়া, সুজন, তারেক আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছুরিকাঘাতে ভাইয়ের পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়।”
আশংকাজনক অবস্থায় এরশাদকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত ৯টার দিকে ফেনীতে মৃত্যু হয় তার।
সামছুদ্দিন বলেন, “বামনী নদী ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাছ ধরার প্রত্যেক ট্রলার থেকে নিজাম ডাকাতের বাহিনী চাঁদা আদায় করে। এরশাদ ভাইয়ের থেকেও ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে পাঁচ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা না দেয়ায় নিজাম ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যরা এই হামলা চালায়।”
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ