দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাস্টারপাড়ার একটি বাঁশ ঝাড় থেকে ৪’শ টি বাঁশ কেটে নেয়ার অভিযোগ তুলে এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। (৫ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে ওই পুলিশ সদস্যর চাচা বাদী হয়ে ভাই ও ভাইপোর নামে লিখিত অভিযোগ করেছে থানায়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও সরজমিন অনুসন্ধানে জানাগেছে, দামুড়হুদা থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামস্থ মাষ্টার পাড়ায় বাড়ির পিছনে ৮শতক জমিতে বাঁশ রোপন করে মহিদুল ইসলাম ও তার ভাই, বোনেরা। ওই জমির শরীক তারা ১১ভাই বোন। কিন্তু তাদের ভাই মহাসিন আলীর ছেলে আহসান হাবীব প্রায় মাঝে মাঝে ওই বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে ওই বাঁশ ঝাড় থেকে ৪’শ পিচ বাঁশ কেটে নেয় ছুটিতে বাড়িতে আসা পুলিশ সদস্য (ভাইপো) আহসান হাবীব। এক পর্যায়ে অন্য শরীকরা তাকে বাঁশ কাটতে নিষেধ করায় সে পুলিশ বাহীনির সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন রকম গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তার(পুলিশ সদস্যর) ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী ও তার শরীকরা। ভুক্তভোগীরা তারা আইনের আশ্রয় নিতে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁটা বাঁশ দেখতে পাই অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য (এএসআই) আহসান হাবীব বলেছেন, আমার ও বাবার উপরে অনেক নির্যাতন করেছে আমার চাচারা।তারা আমাদের কে ভালো ভালো জমিগুলো থেকে বঞ্চিত করেছে। তিনি আরো বলেন, বাঁশ বাগানটি আমাদের সকলের। অন্য কেউ পরিবারের লোকজন বাঁশ কেটে নিলে সমস্যা হয় না। আমি আমার আসহায় বোনের জন্য কয়টা বাঁশ কেটেছি তাতেই চাচারা আমার বাবার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, এ সংক্রান্ত একটা অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।