৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাহমুদুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্লাস সেভেনের মাহমুদুল হাসানের বন্ধু নিশান নামের এক শিক্ষার্থী কে মারধর করে তাদের স্কুলের এক বড় ভাই। এসময় মাহমুদুল বাধা দিলে তাকেও মারপিট করে।পরবর্তীতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ:বারেকের কানে পৌঁছালে তিনি তিনজনের অভিভাবকদের কে স্কুলে ডাক করেন। দুজনের অভিভাবক হাজির হলেও মাহমুদুলের পিতা মারা যাওয়ার কারণে সে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে আসছে। তার নানা (অভিভাবক) কাজে ব্যস্থ থাকার কারনে স্কুলে হাজির হতে পারেনি। এ সময় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আ:বারেক ও সহকারী শিক্ষক আশরাফ মিলে মাহমুদুল কে বেধড়ক মারপিট করে তিনটা বেত ভেঙ্গে ফেলে ও তার হাতের ঘড়ি পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলে মারতে মারতে। ওই সময় প্রধান শিক্ষক বারেক তাকে ভয় দেখায় এ ঘটনা বাইরে কোথাও বললে তোকে আরো মারবো এবং বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেবো। গতকাল বুধবার সকালে মাহমুদুল এর অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে কথা বলেনি।
এ বিষয়ে জানতে মাহমুদুল এর সাথে কথা বললে সে জানান, দুই স্যার মিলে আমাকে খুব মারপিট করেছে। আমার শরীরে জ্বর চলে এসেছে।
নানা (অভিভাবক) হায়দার ডাক্তার জানান, মাহমুদুল খুব অসুস্থ আমরা বিদ্যালয়ে যাবো যদি ন্যায় বিচার না পাই তবে নাতিকে আর ঐ বিদ্যালয়ে পড়াবো না।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক মেম্বর মনিরুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মারধরের বিষয়টা আমি জানিনা।
মাহমুদুলের মা হাজেরা খাতুন জানান, আমরা মৌখিকভাবে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাবস্থা নেবার।আমরা ন্যায় বিচার চাই। বাবা হারা এতিম ছেলেকে অন্যায়ভাবে রোজা থাকা অবস্থাতেও যা মেরেছে তা বলার মত না।সে প্রচন্ড অসুস্থ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আ:বারেক জানান,
মোবাইল সব কথা বলা যায় না, আপনি অফিসে আসেন এসে জানেন।