চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় বেশ কয়েকটি পরিবার অবরুদ্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নের জমিদানকারীরা প্রতিকার চেয়ে (ইউএনও) ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, গত ১লা মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদানকারী সদস্যদের এবং বিদ্যালয়ের পাশে বসবাসকারী স্থানীয়দের কোনো কিছু না জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোর্তজা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী সীমানা প্রাচীর দেওয়ার লক্ষ্যে সার্ভেয়ার নিয়ে জমি পরিমাপ শুরু করে। জমির সীমানা নির্ধারণের কথা জানতে পেরে স্থানীয় বসবাসকারী এবং দাতা সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের কাছে এসে জানতে পারে এখানে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার জন্য সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে। সে সময় দাতা সদস্য এবং স্থানীয়রা আপত্তি জানাই। জমিদাতাদের এবং স্থানীয় বসবাসকারীদের সমস্যার কথা কর্ণপাত না করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি মিলে প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান রাখে। পরবর্তীতে গত ৬ই মার্চ বিদ্যালয়ের জমি দাতা সদস্যরা এবং স্থানীয় কয়েকজন অসহায় পরিবার মিলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো আবু হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা শিক্ষা কমিটির মিটিং করেছি। মিটিংয়ে জমিদাতা সদস্যদের চলাচলের রাস্তা রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, এ সংক্রান্ত একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে বিষয়টি তদন্ত করে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা রেখে প্রাচীর নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।###