মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫ নম্বর জেটিতে খনন কাজে নিয়োজিত ড্রেজার থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার তিন ঘন্টা পর নিহতের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবরিা। লাশটি থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, বন্দরের ৫নম্বর জেটি এলাকায় খনন কাজে নিয়োজিত সিএসডি বোখারী নামক ড্রেজারের কাটার (মাটি খননের পাখা) পরিস্কার করার সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই শ্রমিক পশুর নদীতে পড়ে যান। মুলত ড্রেজারের কাটারের ঝুলন্ত ওয়াররোপ ছিড়ে গেলে কাটারটি নদীর তলদেশে পড়ে যায়। তখনই কাটারের ময়লা পরিস্কার করতে থাকা দুই শ্রমিক কাটারের ওয়াররোপের সাথে জড়িয়ে জেটি সংলগ্ন পশুর নদীতে পড়ে যান।
তারা নৌকায় করে কাটারটি পরিস্কারের কাজ করছিলেন। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর দুইজনের একজন সাতরিয়ে কুলে উঠতে পারলেও নাইম দেওয়ান (২৫) নামের শ্রমিক নিঁখোজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় ডুবুরি, বন্দর ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।
তল্লাশির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি সনাক্ত করেন স্থানীয় ডুবুরিরা। এরপর লাশটি যাতে সরে কিংবা ভেসে যেতে না পারে সেজন্য রশি/দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে রাখেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কাটার নিচে চাপা পড়া নিহত নাইমের লাশ উদ্ধার করেন ডুবরিা। উদ্ধারের পর লাশটি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত নাইম দেওয়ানের বাড়ী মুন্সীগঞ্জে। আর সাতরিয়ে কুলে উঠা শ্রমিক হলেন মাজেদ (৫০)।
বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব এ ড্রেজারটি গোপালগঞ্জের এজেড ড্রেজিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর খান মেজবাহের কাছে ভাড়া দেয়া ছিলো। ওই কোম্পানীটি ভাড়া নিয়ে বন্দরের ৫ নম্বর জেটি এলাকায় খনন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। নিহত শ্রমিক নাইম এজেড ড্রেজিং কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য রবিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এ ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন নৌপুলিশ বলেও জানান তিনি। #