চুয়াডাঙ্গা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে মোংলায়। রবিবার মোংলায় ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর ৩৯ ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো মোংলাসহ সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে। আর এমন পরিস্থিতি চলবে আগামী ২/৩দিন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আগামী দুই তিন তীব্র তাপদাহ বিরাজ করবে। তিনি বলেন, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস মৃদু, ৪০ এর পর মাঝারী আর ৪১ হলো তীব্র তাপদাহ।

 

এদিকে প্রচন্ড তাপদাহে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীও ছায়া খুজছেন। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থাকা কুমিরগুলো ছায়া জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া করমজলে হরহামেশা যে সব প্রাণী দেখা যেত তা এখন আর তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। বিশেষ করে হরিণ, বানর ও গুইসাপ এসব প্রাণী বনের ভিতরে ছায়া-শীতল স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

 

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, কুমির শীতল রক্তের প্রাণী। এদের নিজস্ব কোনো তাপ নেই। ওদের শরীরের উপরে যে মাংসপিণ্ড দেখা যায়, তা দিয়ে রোদ থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু তার একটা সীমা আছে। তাপমাত্রা অতিরিক্ত হলে তারা রোদ থেকে ছায়ায় চলে যায়।

 

তাই করমজলের কুমিরগুলো প্যানের রোদ থেকে ছায়ায় অবস্থান নিয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত তাপে বন্যপ্রাণীরা কষ্ট পাচ্ছে। আর বনে সব সময় হরিণ, বানর, গুইসাপ ও পাখি দেখা গেলেও তা এখন আর তীব্র তাপদাহে দেখা যাচ্ছেনা। এসব প্রাণীগুলো বনের গহীনে লতাপাতা ও গুল্মের মধ্যে শীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

Powered by WooCommerce

মোংলায় দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আপডেটঃ ১০:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে মোংলায়। রবিবার মোংলায় ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর ৩৯ ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো মোংলাসহ সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে। আর এমন পরিস্থিতি চলবে আগামী ২/৩দিন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আগামী দুই তিন তীব্র তাপদাহ বিরাজ করবে। তিনি বলেন, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস মৃদু, ৪০ এর পর মাঝারী আর ৪১ হলো তীব্র তাপদাহ।

 

এদিকে প্রচন্ড তাপদাহে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীও ছায়া খুজছেন। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থাকা কুমিরগুলো ছায়া জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া করমজলে হরহামেশা যে সব প্রাণী দেখা যেত তা এখন আর তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। বিশেষ করে হরিণ, বানর ও গুইসাপ এসব প্রাণী বনের ভিতরে ছায়া-শীতল স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

 

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, কুমির শীতল রক্তের প্রাণী। এদের নিজস্ব কোনো তাপ নেই। ওদের শরীরের উপরে যে মাংসপিণ্ড দেখা যায়, তা দিয়ে রোদ থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু তার একটা সীমা আছে। তাপমাত্রা অতিরিক্ত হলে তারা রোদ থেকে ছায়ায় চলে যায়।

 

তাই করমজলের কুমিরগুলো প্যানের রোদ থেকে ছায়ায় অবস্থান নিয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত তাপে বন্যপ্রাণীরা কষ্ট পাচ্ছে। আর বনে সব সময় হরিণ, বানর, গুইসাপ ও পাখি দেখা গেলেও তা এখন আর তীব্র তাপদাহে দেখা যাচ্ছেনা। এসব প্রাণীগুলো বনের গহীনে লতাপাতা ও গুল্মের মধ্যে শীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানান তিনি।