মোংলায় ১০হাজার মিটার নেট জাল জব্দের পর তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পশুর ও শেলা নদীর মোহনা থেকে জব্দকৃত এ জাল দুপুরে ফেরীঘাট এলাকায় পুড়িয়ে ধ্বংস করেছেন অভিযানকারীরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি ঝাটকা সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবারও মোংলার পশুর নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সকালে উপজেলার জয়মনিরঘোল এলাকার পশুর ও শেলা নদীর মোহনা থেকে ১০হাজার মিটার নিষিদ্ধ নেট জাল জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো মোংলার ফেরিঘাটে এনে দুপুরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
নিয়মিত এ অভিযানে মৎস্য বিভাগকে সহায়তা করছেন দিগরাজ নৌঘাটির (নৌবাহিনী) সদস্যরা। এর আগে সোমবার পশুর নদীর সুন্দরতলা ও আমতলা এলাকা থেকে ৪হাজার মিটার অবৈধ নেট জাল জব্দ করা হয়।
মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ঝাটক সংরক্ষণ অভিযান চলবে আগামী ৩০জুন পর্যন্ত। এ অভিযানে প্রতিদিনই কম-বেশি অর্থাৎ ৩হাজার থেকে ৭হাজার মিটার পর্যন্ত নেট জাল জব্দ ও তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, নেট/মশারী জাল মুলত নিষিদ্ধ। তারপরও জেলেরা চিংড়ির পোনা আহরণে এর ব্যবহার করে আসছেন।
আর সবচেয়ে ছোট ফাঁসের এ নেট জালে ইলিশের পোনা আটকে মারা পড়ছে। যার ফলে ইলিশের ছোট পোনা সংরক্ষণের জন্যই চলমান ঝাটকা সংরক্ষণ অভিযানে অবৈধ নেট জাল জব্দ করে তা ধ্বংস করা হচ্ছে। নেট জালের ব্যবহার বন্ধ করা গেলে শুধু ইলিশই নয় পশুর নদীসহ সুন্দরবনের নদ-নদীতে অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।