গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা গ্রহণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সোমবার (১ মে) গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পালের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দর দাখিলকৃত অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রচারিত হয়। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি-গৃহহীন মানুষদের ঘর দেওয়ার নামে অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টাকা গ্রহণ করেছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলটির বিভাগীয় সম্পাদক/সমন্বয়কারীর পরামর্শে ওই সংবাদের সত্যনুসন্ধানের নিরিখে উদ্ভৃত পরিস্থিতির নিরসন ও সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে সাংগঠনিক স্বার্থে বাংলাদেশ কৃষক লীগের গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সংগঠনের স্ব স্ব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানসহ তাদের সকল সাংগঠনিক ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল জানান, অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।