চুয়াডাঙ্গা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখন অনেকের মুখেই নির্বাচনের কথা ফুটছে: সামান্তা শারমিন


জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, এখন অনেকের মুখেই দেখবেন নতুন করে নির্বাচনের কথা ফুটছে। কিন্তু সাত থেকে আট মাস আগেও তাদের মুখে নির্বাচনের কোনো কথা ছিল না, মাঠে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারত না। এ অভ্যুত্থান, প্রাণত্যাগ তাদের সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে, কিন্তু তারা সেটা ভুলে যাচ্ছে। যারা শহীদদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাদের যে বিচারের আওতায় আনতে হবে সেটাও তারা বলতে ভুলে গেছে। আমরা সেটাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌরসভা হলরুমে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি, আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির রাইজিং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো কাজ বাকি রয়েছে, বাংলাদেশটাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। এটি করার জন্য অনেক ধরনের বাধাও থাকবে। আপনারা দেখবেন নানা মানুষ-রাজনৈতিক দল আপনাদের সামনে হাজির হবে। আপনারা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখবেন, তারা কি চাঁদাবাজি করে নাকি সন্ত্রাসী করে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি তাদের একমাত্র পরিচয় হয়ে উঠছে এবং তাদের পুরোনো পরিচয় যে মানুষ মনে রেখেছে সেটিও তারা ভুলে গেছে। তাদের আগের আমলগুলো এখনো খুঁজলে পাওয়া যাবে। আমরা সেগুলো মনে রেখেছি।

জাতীয় নাগরিক কমিটিসামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে উদ্ধৃত যে রাজনৈতিক দল আসবে তারা বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে চাঁদাবাজি হবে, সন্ত্রাসী হবে, দখলদারিত্ব হবে সেগুলো রুখে দিতে সকলে একত্রে দাঁড়িয়ে থাকবে। শহীদদের দায় আমরা মাথায় নিয়েছি,কাঁধে নিয়েছি। ভোলার শহীদ নাহিদুল ইসলামের মায়ের মতো মায়েদের কান্না আমাদের বুকে বিঁধে আছে। বুক থেকে এগুলো কেউ নামাতে পারবে না, যতই নির্বাচন বলেন, যতই আমাদের বিভিন্ন লোভ দেখান। শহীদের মর্যাদা আমরা সবাই বুকে ধারণ করি, সকলেই শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লালন করি। যারা আমাদের বাধাগ্রস্ত করতে আসবেন, নতুন বাংলাদেশের আশা ভূলুণ্ঠিত করতে তাদেরকে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের রাজনীতি করতে পাঠান। কারণ আপনাদের সন্তানরা যদি রাজনীতি করতে না আসে তাহলে পুরোনো যাদের মাথাটা বিকিয়ে দিয়েছে তারা আবার আমাদের রাজনীতিকে চাঁদাবাজির মধ্যে ঠেলে নিয়ে যাবে। আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পটপরিবর্তনের সময় কীভাবে আমাদের দেশের জনগণ মৃত্যুবরণ করেন, তাদের দলীয় সংঘর্ষে। আমরা সেটা বন্ধ করতে চাই। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণভাবে একদল থেকে আরেকদল ক্ষমতা পাবে। এটা আমাদেরকে বলতে হবে এবং একসঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের ১৯৪৭ গেছে, ৫২ গেছে, ৬৭ গেছে, ৭০ গেছে, ৯০ গেছে, আবার ২০২৪ গেছে। কিন্তু ২০২৪-কেও হাত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। আপনারা সে প্রচেষ্টা সফল হতে দেবেন না। তরুণদের যে রাজনৈতিক দল আসবে সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আপনারা থাকবেন। সমালোচনা করবেন। কারণ এই দল আপনাদের কথা বলবে। এমন কাউকে ভোট দেবেন না যাদের চেহারা বছরে একবারও আপনারা দেখেন না। আপনারা এ বিষয়ে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। ভোট আপনাদের এবং আপনারা সম্মানিত ভোটার। কিন্তু আপনাদের কখনো সম্মান করা হয়নি।বাংলাদেশের মানুষ তার মর্যাদা পর্যন্ত পায়নি।

এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য সেলের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও জুলাই আগস্টে শহীদ-আহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

 

 



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

এখন অনেকের মুখেই নির্বাচনের কথা ফুটছে: সামান্তা শারমিন

আপডেটঃ ০৬:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, এখন অনেকের মুখেই দেখবেন নতুন করে নির্বাচনের কথা ফুটছে। কিন্তু সাত থেকে আট মাস আগেও তাদের মুখে নির্বাচনের কোনো কথা ছিল না, মাঠে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারত না। এ অভ্যুত্থান, প্রাণত্যাগ তাদের সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে, কিন্তু তারা সেটা ভুলে যাচ্ছে। যারা শহীদদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাদের যে বিচারের আওতায় আনতে হবে সেটাও তারা বলতে ভুলে গেছে। আমরা সেটাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌরসভা হলরুমে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি, আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির রাইজিং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো কাজ বাকি রয়েছে, বাংলাদেশটাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। এটি করার জন্য অনেক ধরনের বাধাও থাকবে। আপনারা দেখবেন নানা মানুষ-রাজনৈতিক দল আপনাদের সামনে হাজির হবে। আপনারা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখবেন, তারা কি চাঁদাবাজি করে নাকি সন্ত্রাসী করে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি তাদের একমাত্র পরিচয় হয়ে উঠছে এবং তাদের পুরোনো পরিচয় যে মানুষ মনে রেখেছে সেটিও তারা ভুলে গেছে। তাদের আগের আমলগুলো এখনো খুঁজলে পাওয়া যাবে। আমরা সেগুলো মনে রেখেছি।

জাতীয় নাগরিক কমিটিসামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে উদ্ধৃত যে রাজনৈতিক দল আসবে তারা বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে চাঁদাবাজি হবে, সন্ত্রাসী হবে, দখলদারিত্ব হবে সেগুলো রুখে দিতে সকলে একত্রে দাঁড়িয়ে থাকবে। শহীদদের দায় আমরা মাথায় নিয়েছি,কাঁধে নিয়েছি। ভোলার শহীদ নাহিদুল ইসলামের মায়ের মতো মায়েদের কান্না আমাদের বুকে বিঁধে আছে। বুক থেকে এগুলো কেউ নামাতে পারবে না, যতই নির্বাচন বলেন, যতই আমাদের বিভিন্ন লোভ দেখান। শহীদের মর্যাদা আমরা সবাই বুকে ধারণ করি, সকলেই শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লালন করি। যারা আমাদের বাধাগ্রস্ত করতে আসবেন, নতুন বাংলাদেশের আশা ভূলুণ্ঠিত করতে তাদেরকে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের রাজনীতি করতে পাঠান। কারণ আপনাদের সন্তানরা যদি রাজনীতি করতে না আসে তাহলে পুরোনো যাদের মাথাটা বিকিয়ে দিয়েছে তারা আবার আমাদের রাজনীতিকে চাঁদাবাজির মধ্যে ঠেলে নিয়ে যাবে। আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পটপরিবর্তনের সময় কীভাবে আমাদের দেশের জনগণ মৃত্যুবরণ করেন, তাদের দলীয় সংঘর্ষে। আমরা সেটা বন্ধ করতে চাই। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণভাবে একদল থেকে আরেকদল ক্ষমতা পাবে। এটা আমাদেরকে বলতে হবে এবং একসঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের ১৯৪৭ গেছে, ৫২ গেছে, ৬৭ গেছে, ৭০ গেছে, ৯০ গেছে, আবার ২০২৪ গেছে। কিন্তু ২০২৪-কেও হাত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। আপনারা সে প্রচেষ্টা সফল হতে দেবেন না। তরুণদের যে রাজনৈতিক দল আসবে সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আপনারা থাকবেন। সমালোচনা করবেন। কারণ এই দল আপনাদের কথা বলবে। এমন কাউকে ভোট দেবেন না যাদের চেহারা বছরে একবারও আপনারা দেখেন না। আপনারা এ বিষয়ে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। ভোট আপনাদের এবং আপনারা সম্মানিত ভোটার। কিন্তু আপনাদের কখনো সম্মান করা হয়নি।বাংলাদেশের মানুষ তার মর্যাদা পর্যন্ত পায়নি।

এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য সেলের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও জুলাই আগস্টে শহীদ-আহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

 

 



Source link