চুয়াডাঙ্গা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানের শেষ কয়টা দিন ওজন কমান মাত্র ৬টি উপায়ে


রমজানের শেষ কিছুদিনে শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। ইফতার ও সেহরির সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে ওজন কমানো সম্ভব। আজ আমরা রমজানের শেষ কয়েকদিনে ওজন কমানোর কার্যকর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-

  • ইফতারে ভাজাপোড়া ও চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে হালকা, পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। কিছু ভালো ইফতার অপশন হতে পারেঃ খেজুর (মাত্র ২-৩টি), চিনি ছাড়া যেকোনো জুস, শসা, গাজর ও অন্যান্য সবজির সালাদ, দই-চিয়া সিড-ফলযুক্ত স্মুদি বোল, গ্রিলড বা সেদ্ধ প্রোটিন (মুরগি, মাছ, ডাল, চিংড়ি), ডালের স্যুপ, চিকেন স্যুপ ইত্যাদি।
  • ওজন কমানোর জন্য শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ইফতার থেকে সেহরির মাঝে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ক্যালোরিযুক্ত কোমল পানীয় বা চিনিযুক্ত শরবত পরিহার করুন।
  • রমজানের শেষ কয়দিনে অতিরিক্ত খাওয়া ও অলসতা ওজন বাড়াতে পারে। তাই হালকা ব্যায়াম করুন, যেমনঃ মৃদু ওয়াকিং বা জগিং (২০-৩০ মিনিট), যোগব্যায়াম, সহজ স্ট্রেচিং।
  • অনেকেই মনে করেন সেহরিতে বেশি খেলে সারাদিন ভালো থাকবেন, কিন্তু এটি ভুল ধারণা। ভারী খাবার খেলে বিপাক হার কমে যায় এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই সেহরিতে খান- প্রোটিনযুক্ত খাবার (ডিম, দই, মুরগি), আঁশযুক্ত খাবার (ওটস, ফল, বাদাম), কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা দই
  • ভাত, রুটি ও আলুর মতো শর্করাজাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন। পরিবর্তে উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি রাখুন। এটি আপনার মেটাবলিজম বাড়াবে ও ওজন কমাতে সহায়ক হবে।
  • ঘুমের অভাব হলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, যাতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়।
প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

রমজানের শেষ কয়টা দিন ওজন কমান মাত্র ৬টি উপায়ে

আপডেটঃ ০৫:৩২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫


রমজানের শেষ কিছুদিনে শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। ইফতার ও সেহরির সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে ওজন কমানো সম্ভব। আজ আমরা রমজানের শেষ কয়েকদিনে ওজন কমানোর কার্যকর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-

  • ইফতারে ভাজাপোড়া ও চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে হালকা, পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। কিছু ভালো ইফতার অপশন হতে পারেঃ খেজুর (মাত্র ২-৩টি), চিনি ছাড়া যেকোনো জুস, শসা, গাজর ও অন্যান্য সবজির সালাদ, দই-চিয়া সিড-ফলযুক্ত স্মুদি বোল, গ্রিলড বা সেদ্ধ প্রোটিন (মুরগি, মাছ, ডাল, চিংড়ি), ডালের স্যুপ, চিকেন স্যুপ ইত্যাদি।
  • ওজন কমানোর জন্য শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ইফতার থেকে সেহরির মাঝে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ক্যালোরিযুক্ত কোমল পানীয় বা চিনিযুক্ত শরবত পরিহার করুন।
  • রমজানের শেষ কয়দিনে অতিরিক্ত খাওয়া ও অলসতা ওজন বাড়াতে পারে। তাই হালকা ব্যায়াম করুন, যেমনঃ মৃদু ওয়াকিং বা জগিং (২০-৩০ মিনিট), যোগব্যায়াম, সহজ স্ট্রেচিং।
  • অনেকেই মনে করেন সেহরিতে বেশি খেলে সারাদিন ভালো থাকবেন, কিন্তু এটি ভুল ধারণা। ভারী খাবার খেলে বিপাক হার কমে যায় এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই সেহরিতে খান- প্রোটিনযুক্ত খাবার (ডিম, দই, মুরগি), আঁশযুক্ত খাবার (ওটস, ফল, বাদাম), কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা দই
  • ভাত, রুটি ও আলুর মতো শর্করাজাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন। পরিবর্তে উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি রাখুন। এটি আপনার মেটাবলিজম বাড়াবে ও ওজন কমাতে সহায়ক হবে।
  • ঘুমের অভাব হলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, যাতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়।