চুয়াডাঙ্গা ০৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা

রোজকার খাদ্যভ্যাসে খেজুর রাখলে পেতে পারেন অনেক রোগ থেকে মুক্তি। জানেন কি প্রতিদিন দৈনন্দিন খাবারের পাশাপাশি খেজুর খেলে দূর হতে পারে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য? সেই সঙ্গে কেটে যাবে দুর্বল ভাবও।

 

সুস্বাদু, মিষ্টি এই ফলটি অ্যামিনো অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ ভিটামিনের একটি দারুণ উৎস। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকা এই ফলটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত উপকারী।

সহজলভ্য এই ফলটির মধ্যে রয়েছে এমনই সব অবাক করা পুষ্টিগুণ। জেনে নিন খেজুর কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সহায়তা করে-

 

গ্লুকোজের একটি ভালো উৎস খেজুর। শারীরিক শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

 

ওজন বাড়াতে খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী। যাদের শারীরিক ওজন কম বা এক কথায় বলতে গেলে যারা আন্ডার ওয়েট, তারা দৈনিক ৪-৫টি করে খেজুর খেলে দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও ওজন বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রোটিন রয়েছে, যা ওজন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

 

খেজুর হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়কে ক্ষয় পাওয়া থেকে আটকায় এবং সেই সঙ্গে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে।

 

খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এসিডিটি বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় যারা ভুগছে, তারা খেজুর খেলে বিশেষ উপকৃত হবে। কারণ, খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়া সুস্থ ও সচল রাখতে সহায়তা করে।

 

দৈনিক দুধে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খাওয়া হলে, তা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। খেজুর আমাদের ত্বকে ছাপ পড়া রোধ করে, ফলে ত্বক অনেক সতেজ দেখায়। এটি ত্বকের কোমলতা বাড়িয়ে তোলে।

 

ছোট্ট এই ফলটি গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম উপস্থিত, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ড্রাইফ্রটু হিসেবে পরিচিত এই ফলটি রোজ রাতে দুধে দিয়ে ফুটিয়ে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খেজুরের মধ্যে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সসহ বিপুল পরিমানে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানগুলি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এত সব পুষ্টি গুণ থাকার দরুণ ছোট্ট , সুস্বাদু এই ফলটিকে ‘সুপার ফ্রুট’ ও বলা হয়ে থাকে। তাই নিজের খাদ্য তালিকায় তথা ডায়েট প্ল্যানে আজ থেকেই রাখুন ‘সুপার ফ্রুট’ খেজুর।

 

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি খাওয়া উচিত। যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তবে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, খেজুর আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি পরিমাণ খেজুর আপনার শরীরে পেটে ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

Powered by WooCommerce

জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা

আপডেটঃ ০৫:২৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

রোজকার খাদ্যভ্যাসে খেজুর রাখলে পেতে পারেন অনেক রোগ থেকে মুক্তি। জানেন কি প্রতিদিন দৈনন্দিন খাবারের পাশাপাশি খেজুর খেলে দূর হতে পারে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য? সেই সঙ্গে কেটে যাবে দুর্বল ভাবও।

 

সুস্বাদু, মিষ্টি এই ফলটি অ্যামিনো অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ ভিটামিনের একটি দারুণ উৎস। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকা এই ফলটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত উপকারী।

সহজলভ্য এই ফলটির মধ্যে রয়েছে এমনই সব অবাক করা পুষ্টিগুণ। জেনে নিন খেজুর কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সহায়তা করে-

 

গ্লুকোজের একটি ভালো উৎস খেজুর। শারীরিক শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

 

ওজন বাড়াতে খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী। যাদের শারীরিক ওজন কম বা এক কথায় বলতে গেলে যারা আন্ডার ওয়েট, তারা দৈনিক ৪-৫টি করে খেজুর খেলে দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও ওজন বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রোটিন রয়েছে, যা ওজন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

 

খেজুর হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়কে ক্ষয় পাওয়া থেকে আটকায় এবং সেই সঙ্গে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে।

 

খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এসিডিটি বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় যারা ভুগছে, তারা খেজুর খেলে বিশেষ উপকৃত হবে। কারণ, খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়া সুস্থ ও সচল রাখতে সহায়তা করে।

 

দৈনিক দুধে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খাওয়া হলে, তা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। খেজুর আমাদের ত্বকে ছাপ পড়া রোধ করে, ফলে ত্বক অনেক সতেজ দেখায়। এটি ত্বকের কোমলতা বাড়িয়ে তোলে।

 

ছোট্ট এই ফলটি গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম উপস্থিত, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ড্রাইফ্রটু হিসেবে পরিচিত এই ফলটি রোজ রাতে দুধে দিয়ে ফুটিয়ে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খেজুরের মধ্যে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সসহ বিপুল পরিমানে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানগুলি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এত সব পুষ্টি গুণ থাকার দরুণ ছোট্ট , সুস্বাদু এই ফলটিকে ‘সুপার ফ্রুট’ ও বলা হয়ে থাকে। তাই নিজের খাদ্য তালিকায় তথা ডায়েট প্ল্যানে আজ থেকেই রাখুন ‘সুপার ফ্রুট’ খেজুর।

 

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি খাওয়া উচিত। যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তবে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, খেজুর আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি পরিমাণ খেজুর আপনার শরীরে পেটে ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।