চুয়াডাঙ্গা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা আলমডাঙ্গায় কম্বল চুরি,মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আটক দর্শনায় দু মহিলাকে কুপিয়ে জখম,যুবক আটক রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বেনাপোল-সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চুয়াডাঙ্গায় রুট পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ চুয়াডাঙ্গার সড়কে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে নারী নিহত ঝিনাইদহে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণীর অনশন দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ দর্শনায় বি এন পি নেতাকে কুপালো যুবলীগ কর্মী জীবননগর থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গায় টিকা দেওয়ার ১০ ঘণ্টা পর শিশুর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি

চুয়াডাঙ্গায় ইপিআই টিকা দেয়ার ১০ ঘণ্টা পর তাহিয়ান তৌফিক নামে দুই মাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

 

শিশুটির পরিবারের দাবি, সকালে টিকা দেয়ার পর দুপুর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশু তাহিয়ান তৌফিক। রাতে নাপা সিরাপ খাওয়ানোর আধা ঘণ্টা পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। টিকা দেয়ার কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা দাবি করেন।

শিশু তাহিয়ান তৌফিক সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামের আদর্শপাড়ার তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে।

 

এ ঘটনায় বুধবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম শিশুটির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এসময় নাপা সিরাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন।

এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হাসানকে প্রধান করে দশ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

 

শিশুটির বাবা তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে দুই পায়ে তিনটা টিকা এবং একটি খাওয়ানো হয়েছে। এরপর বাড়ি এসে ছেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। কেনা দুধ খাওয়ানো হয় তাকে। দুপুর থেকে হালকা জ্বর আসে। রাতে নাপা সিরাপ খাওয়ানোর আধা ঘণ্টা পরই ছেলে শিটকিয়ে যায়। পরে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রাত ১টার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

তিনি আরও বলেন, এর আগেও ছেলেকে টিকা দেয়া হয়েছে। তখন কিছুই হয়নি। এবার টিকার দেয়ার পর খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ধারণা করছি, টিকা দেয়ার কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নাপা সিরাপ খাওয়ানোর জন্য এমন সমস্যা হয়েছে কিনা- জানি না। স্বাস্থ্য বিভাগের টিম নাপা সিরাপটি নিয়ে গেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন কোন সমস্যা আছে কিনা। এছাড়াও দোকান থেকে নাপা সিরাপ কিনেছি ব্যক্তিগতভাবে আপাতত নাপা সিরাপ বিক্রয় না করতে অনুরোধ করেছি। যেন কোন শিশুর ক্ষতি না হয়।

 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ঘটনা শোনার পর আমিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম শিশুটির বাড়িতে পরিদর্শন করে বিস্তারিত শুনেছি। টিকা দেয়ার কারণে মৃত্যু হয়নি বলে ধারণা করছি। কারণ মৃত্যু হলে টিকা দেয়ার প্রায় এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হতো। এমন মৃত্যু ১০ লাখে একজনের হয়। আমরা ওই নাপা সিরাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। টিকাগুলোর মেয়াদ যাচাই করেছি কোন সমস্যা নেই।

 

তিনি আরও বলেন, শিশুকে গুড়া (বাজারজাত) দুধ খাওয়ানোর জন্য শ্বাসনালীতে আটকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

 

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হাসান বলেন, যেহেতু টিকা কার্যক্রম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আওতাধীন। বিষয়টি শোনার পর সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সুত্রঃ ঢাকাটাইমস

চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

চুয়াডাঙ্গায় টিকা দেওয়ার ১০ ঘণ্টা পর শিশুর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি

প্রকাশ : ০৮:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

চুয়াডাঙ্গায় ইপিআই টিকা দেয়ার ১০ ঘণ্টা পর তাহিয়ান তৌফিক নামে দুই মাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

 

শিশুটির পরিবারের দাবি, সকালে টিকা দেয়ার পর দুপুর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশু তাহিয়ান তৌফিক। রাতে নাপা সিরাপ খাওয়ানোর আধা ঘণ্টা পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। টিকা দেয়ার কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা দাবি করেন।

শিশু তাহিয়ান তৌফিক সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামের আদর্শপাড়ার তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে।

 

এ ঘটনায় বুধবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম শিশুটির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এসময় নাপা সিরাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন।

এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হাসানকে প্রধান করে দশ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

 

শিশুটির বাবা তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে দুই পায়ে তিনটা টিকা এবং একটি খাওয়ানো হয়েছে। এরপর বাড়ি এসে ছেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। কেনা দুধ খাওয়ানো হয় তাকে। দুপুর থেকে হালকা জ্বর আসে। রাতে নাপা সিরাপ খাওয়ানোর আধা ঘণ্টা পরই ছেলে শিটকিয়ে যায়। পরে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রাত ১টার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

তিনি আরও বলেন, এর আগেও ছেলেকে টিকা দেয়া হয়েছে। তখন কিছুই হয়নি। এবার টিকার দেয়ার পর খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ধারণা করছি, টিকা দেয়ার কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নাপা সিরাপ খাওয়ানোর জন্য এমন সমস্যা হয়েছে কিনা- জানি না। স্বাস্থ্য বিভাগের টিম নাপা সিরাপটি নিয়ে গেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন কোন সমস্যা আছে কিনা। এছাড়াও দোকান থেকে নাপা সিরাপ কিনেছি ব্যক্তিগতভাবে আপাতত নাপা সিরাপ বিক্রয় না করতে অনুরোধ করেছি। যেন কোন শিশুর ক্ষতি না হয়।

 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ঘটনা শোনার পর আমিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম শিশুটির বাড়িতে পরিদর্শন করে বিস্তারিত শুনেছি। টিকা দেয়ার কারণে মৃত্যু হয়নি বলে ধারণা করছি। কারণ মৃত্যু হলে টিকা দেয়ার প্রায় এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হতো। এমন মৃত্যু ১০ লাখে একজনের হয়। আমরা ওই নাপা সিরাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। টিকাগুলোর মেয়াদ যাচাই করেছি কোন সমস্যা নেই।

 

তিনি আরও বলেন, শিশুকে গুড়া (বাজারজাত) দুধ খাওয়ানোর জন্য শ্বাসনালীতে আটকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

 

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হাসান বলেন, যেহেতু টিকা কার্যক্রম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আওতাধীন। বিষয়টি শোনার পর সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সুত্রঃ ঢাকাটাইমস