চুয়াডাঙ্গা ১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
সাপ্তাহিক চাকরির ডাক পত্রিকা ২২/১১/২০২৪ ইং প্রকাশিত জীবনের আদর্শ পুরুষ নিয়ে যা বলল ঐশ্বরিয়া শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ কথা বলেননি ট্রাম্প রোনালদোর জোড়া গোল, ম্যাচ জয়ে রেকর্ড বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা পরমাণু বোমা তৈরিতে ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে ইরান ত্রাণ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি বিচার শেষে আ. লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে: ড. ইউনূস মেহেরপুরের বারাদীতে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে ষড়যন্ত্র, ইউনিয়ন বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ ৯৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এক কোয়া রসুন বদলে দিবে আপনার জীবন

রান্নার অনুষঙ্গের পাশপাশি রসুন সুপ্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন দেখা যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-সি, ফাইবার, প্রোটিন ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খেলে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক উপকার পেতে পারেন।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে৷ খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

রক্তচাপ ও রক্তজমাট বাঁধা কম করে 

রক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই উপকারী কারণ এটি নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং এইচ২এস-এর মতো ভাসোডিলেটিং এজেন্ট উভয়ের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। উপরন্তু, এটি ভ্যাসকনস্ট্রিকশন এজেন্ট উৎপাদন হ্রাস করে।

হজম শক্তি বাড়ায় ও অ্যাসিডিটি কমায়

প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়া গ্যাস্ট্রিক জুসের পিএইচ উন্নত করে এবং হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরনো রসুনের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক মিউকোসাল আস্তরণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণকে মেরে ফেলে। রসুনের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি কোলাইটিস, আলসার ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত রোগ কমাতে সাহায্য করে।

 

কোলেস্টেরল কমায় 

রসুনের ঘনত্ব রক্তনালীতে এলডিএল কোলেস্টেরল অক্সিডেশন এবং প্লাক প্রতিরোধ করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কিডনি রোগে সহায়ক 

এলিসিন নামের যৌগিক পাওয়া যায় রসুনে। এটা কিডনির শিথিলতা, রক্তচাপ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে।

 

ইমিউনিটি ভালো করে 

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যা অ্যালিসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগগুলোর কারণে হতে পারে।

 

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল 

বিভিন্ন সময়ে কয়েক শতাব্দী ধরে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত রসুন খাওয়া সাধারণ সর্দি, ফ্লু, পেটের সংক্রমণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক চাকরির ডাক পত্রিকা ২২/১১/২০২৪ ইং প্রকাশিত

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এক কোয়া রসুন বদলে দিবে আপনার জীবন

প্রকাশ : ০৭:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

রান্নার অনুষঙ্গের পাশপাশি রসুন সুপ্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন দেখা যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-সি, ফাইবার, প্রোটিন ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খেলে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক উপকার পেতে পারেন।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে৷ খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

রক্তচাপ ও রক্তজমাট বাঁধা কম করে 

রক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই উপকারী কারণ এটি নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং এইচ২এস-এর মতো ভাসোডিলেটিং এজেন্ট উভয়ের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। উপরন্তু, এটি ভ্যাসকনস্ট্রিকশন এজেন্ট উৎপাদন হ্রাস করে।

হজম শক্তি বাড়ায় ও অ্যাসিডিটি কমায়

প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়া গ্যাস্ট্রিক জুসের পিএইচ উন্নত করে এবং হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরনো রসুনের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক মিউকোসাল আস্তরণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণকে মেরে ফেলে। রসুনের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি কোলাইটিস, আলসার ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত রোগ কমাতে সাহায্য করে।

 

কোলেস্টেরল কমায় 

রসুনের ঘনত্ব রক্তনালীতে এলডিএল কোলেস্টেরল অক্সিডেশন এবং প্লাক প্রতিরোধ করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কিডনি রোগে সহায়ক 

এলিসিন নামের যৌগিক পাওয়া যায় রসুনে। এটা কিডনির শিথিলতা, রক্তচাপ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে।

 

ইমিউনিটি ভালো করে 

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যা অ্যালিসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগগুলোর কারণে হতে পারে।

 

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল 

বিভিন্ন সময়ে কয়েক শতাব্দী ধরে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত রসুন খাওয়া সাধারণ সর্দি, ফ্লু, পেটের সংক্রমণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।