গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোবাইল চোর চক্রের মূল হোতা রুপকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন জাইগায় অভিযান চালিয়ে আরো ৭,জনকে মোবাইলসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা হাউসপুর ব্রীজ হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- ১. আলমডাঙ্গা ঘোষবিলা খন্দকারপাড়া গ্রামের মৃত শাহিন খন্দকারের ছেলে আশিকুজ্জামান রুপক (৩০), ২. কুষ্টিয়া জেলার ইবি (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) থানার শংকরদিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে সাহিল রহমান ডন (২৪), ৩. আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার শ্রী সুবেন্দ্র কুমার সাহার ছেলে শ্রী শুভ সাহা (৩০), ৪. আলমডাঙ্গা ক্যানালপাড়ার প্রেমানন্দ অধিকারীর ছেলে বিশ্বজিৎ অধিকারী (২২), ৫. আলমডাঙ্গা এরশাদপুর মক্তবপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৮), ৬. আলমডাঙ্গা মাদ্রাসাপাড়ার শ্রী নিতাই কুমার বিশ্বাসের ছেলে শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস (২০), ৭. আলমডাঙ্গা রথখোলাপাড়ার সোলাইমান হোসেনের ছেলে নাহিদ হাসান (১৯), ৮. আলমডাঙ্গা রাধিকাগঞ্জ ফকিরপাড়ার মোহন আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩০), ৯. আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে আজহারুল ইসলাম আকাশ (২৫), ১০. আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার সুবেন্দ মিঠুন সাহা (৩০)।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, জামজামি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শরীয়তুল্যাহ ভূঁইয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশিকুজ্জামান রুপক, সাহিল রহমান ডন, শ্রী শুভ সাহা ও বিশ্বজিৎ অধিকারীকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের কাছে থাকা দুইটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবার অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন চারতলা মোড়স্থ রথখোলার সামনের গেইটের সামনে থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম, শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস, নাহিদ হাসান, আব্দুল্লাহ, আজহারুল ইসলাম আকাশ, মিঠুন সুবেন্দ্র শাহাকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের কাছে থাকা আরও পাঁচটি মোবাইলফোন উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিভিন্ন এলাকায় তাদের বিচরন ছিলো।আর অভিনবভাবে চুরি করার জন্য তারা ষ্টেশন, মার্কেট, ক্যাম্পাস, রাস্তায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নিত।আগে থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীকে টার্গেট করতো । তাদের কাছ থেকে রিং দেওয়ার নাম করে, অথবা না জানিয়ে নিজেদের ছবি তোলার অজুহাতে তাদের ফোন চেক করে। ছবি তুলেছে কি যাচাই করার নাম করে ফোন নিয়ে পালিয়ে যেত।
যেখানে এরকম কার্যক্রম চালায় সেখানে আগে থেকেই একাধিক সদস্য বিভিন্ন জায়গায় সেট হয়ে থাকে। সাথে একজন দক্ষ মোটরসাইকেল চালক থাকে সার্বক্ষনিক সজাগ থাকে পালানোর জন্য।আরও সদস্যরা ঘটনাটি শোনার চেষ্টা চালিয়ে অন্যদিকে প্রভাবিত করতো। সারা বাংলাদেশে চোর চক্রের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে তারা জানান। চুরি করা ফোন ছাড়াও বিভিন্ন রকম চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে আসতো বলে জানা গেছে ।
মোঃ আশিকুজ্জামান রূপক, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বলে জানান।মূলত তিনিই সকল চুরির মাষ্টার মাইন্ড ছিলেন।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।