চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মো. শাহাবুদ্দীনকে হত্যাচেষ্টা, তার শ্বশুরবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দর্শনা থানা আমলি আদালতে সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরসহ ২২ জনের বিরুদ্দে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মো. শাহাবুদ্দীন বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, খোকনের ছেলে হাফিজুল, সিরাজের ছেলে কুটি বাবু, আছমত আলীর ছেল চান্দু, আনসার আলীর ছেলে সাইফুল (হুকুম আলী), আ. জব্বারের ছেলে ইসমাইল, লিয়াকত আলীর ছেলে ইদ্রিস, আনোয়ার মাস্টারের ছেলে জাকারিয়া আলম, টুকু মিয়ার ছেলে দাউদ হোসেন, শুকুর আলীর ছেলে সাহেব আলী, আউলিয়ার ছেলে মুন, নারায়ণের ছেলে তপন, জামালের ছেলে মামুন, আ. রাজ্জাকের ছেলে সুমন, আলী হোসেনর ছেলে মান্নান, কলিম মিস্ত্রির ছেলে আসলাম উদ্দীন তোতা, তনু মল্লিকের ছেলে আ. হান্নান (ছোট), আজাদের ছেলে পারভেজ, দীন মোহাম্মেদের ছেলে সাইফুল মেম্বার, জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল সরদার ও আব্দুল হাইয়ের ছেলে মো. আশরাফ আলম বাবু।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহাবুদ্দীন শ্বশুর মোহা. মিজানুর রহমানের দর্শনা কেরু দারোয়ান লাইন কোয়াটারের বাড়িতে অবস্থান করাকালে আসামিরা দা, লাঠি, ফালা, পিস্তল লোহার রড জিআই পাইপ বোমাসহ বিনা উসকানিতে অতর্কিতভাবে সাবেক এমপি টগরের নির্দেশে শাহাবুদ্দীনের ওপর হামলা চালান। এসময় শাহাবুদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তিনজন হাসুয়া দিয়ে তাকে কোপ মারেন।
এছাড়া, তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে গেলে তার স্ত্রী মোছা. কহিনুর আক্তার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় একজন তার স্ত্রীকে রাম দা দিয়ে কোপ মারেন। তার শাশুড়ি মোছা. নুর জাহান তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আসামিরা তার শাশুড়িকে মারধন করেন। একপর্যায়ে আসামিরা তার শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর করে। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এছাড়া আসামিরা আলমারিতে থাকা ২০ হাজার টাকা, তার স্ত্রীর একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, তার শাশুড়ির একটি স্বর্ণের চেন, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল লুট করে নিয়ে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আসামিরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ও ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ ওই সময় মামলা গ্রহণ করেনি।