চুয়াডাঙ্গা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং,৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের আয়োজনে বাজার মনিটরিং ও জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজার ও শাড়ি কাপড়ের দোকান গুলোতে মনিটরিং করা হয়। একই সাথে ৬টি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে যৌথভাবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)আনিসুজ্জামান লালন, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, এনডিসি সাদাত হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

 

জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগী, গরু, খাসি) ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাউল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে তদারকি করা হয় ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুল্য তালিকা প্রদর্শিত আছে কিনা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুদ আছে কিনা এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে তদারকী করা হয়।কিছু কিছু দোকনে বা প্রতিষ্ঠানে গড়মিল পাওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এবং রমজান মাসে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোন সংকট নেই। ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিমভাবে কোন সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করতে না পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক, স্থিতিশীল এবং সরবারহ নিশ্চিত করতে এ ধরণের তদারকী নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।

Powered by WooCommerce

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং,৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আপডেটঃ ০৪:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের আয়োজনে বাজার মনিটরিং ও জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজার ও শাড়ি কাপড়ের দোকান গুলোতে মনিটরিং করা হয়। একই সাথে ৬টি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে যৌথভাবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)আনিসুজ্জামান লালন, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, এনডিসি সাদাত হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

 

জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগী, গরু, খাসি) ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাউল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে তদারকি করা হয় ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুল্য তালিকা প্রদর্শিত আছে কিনা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুদ আছে কিনা এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে তদারকী করা হয়।কিছু কিছু দোকনে বা প্রতিষ্ঠানে গড়মিল পাওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এবং রমজান মাসে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোন সংকট নেই। ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিমভাবে কোন সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করতে না পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক, স্থিতিশীল এবং সরবারহ নিশ্চিত করতে এ ধরণের তদারকী নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।