চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার কন্যা শিশুর নাম রাখলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বুধবার (১০ মে) দুপুরে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিতে চার শিশুকে দেখতে যান এবং নামকরণ করেন জেলা প্রশাসক।
বুধবার (১০ মে) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মিষ্টি ও বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক চার যমজ মেয়ের মা কল্পনা খাতুনকে (২৬) ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরে সবার অনুরোধে তিনি চার কন্যার নাম রাখেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে এক সাথে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কল্পনা খাতুন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পরে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান চার যমজ সন্তান জন্মের খবর শুনে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তাদের নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন,পরিবার থেকে আমাকে নাম দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আমি পর্যায়ক্রমে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া নাম দিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুরানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের কল্পনা-মাহাবুব দম্পতির একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর পেয়ে বুধবার নবজাতকদের দেখতে ক্লিনিকে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এসময় তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, মিষ্টিমুখ করান, নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নবজাতকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বিনামূল্যে প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান। এসময় ঐ দম্পতির অনুরোধে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাদের এই নামকরণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘একসঙ্গে চার কন্যা শিশুর জন্ম নেওয়া খবর পেয়ে আমরা ক্লিনিকে তাদের দেখতে যাই। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি তারা যেন নবজাতকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বিনামূল্যে প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের বাবা রাজমিস্ত্রী। খুবই দরিদ্র পরিবার। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে সহযোগিতা করব। সোনালী ব্যাংক লিমিডেট, কোর্ট বিল্ডিং শাখায় তাদের বাবার নামে একটি অ্যাকাউন্ট করে দেব। সমাজের সামর্থ্যবানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতে পারবে।