চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরায় বাবর আলী (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
নিহত বাবর আলী (৪৫) দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ধান্যঘরা গ্রামের ছাত্তার আলির ছেলে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবার আলী প্রতিদিনের মতো এদিন রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বাবরের চিৎকার ও গুংরানিতে স্বজনরা দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে জানান ওসি।
তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তর জন্য রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান, একজনের কাছে লিচুর বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা ছিল বাবর আলীর। সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলেই অপরাধী শনাক্ত হবে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, মধ্যরাতে বাবর আলীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
হাসপাতেলর জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, বাবর আলীর গলায় কোপের আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় অজ্ঞাত পরিচয়ে তিন ব্যক্তি আমার স্বামীকে বাড়িতে খুঁজতে আসেন। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার মোবাইল নাম্বার চান। আমি মোবাইল দিতে না পারায় তারা চলে যান। রাতে আমি ও আমার ছেলে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার স্বামী বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ে সেই ব্যক্তিরা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে ডেকে উঠানে নিয়ে যায়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় একটি কোপ দেয়। আমি চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যান।