চুয়াডাঙ্গা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফারিয়া সুলতানাকে (২৫) বিয়ে করেছেন সাউই চুই (২৮) নামে এক চীনা যুবক । প্রেম মানে না কোনো জাত, কূল বা ভৌগলিক সীমারেখা। তারই প্রমাণ দিলেন চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা যুবক।

 

ফারিয়া সুলতানা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের মেয়ে।

 

সোমবার (১০ জুলাই) স্ত্রী ফারিয়ার সাথে শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আসেন সাউই চুই। তিনি এখানে তিন-চারদিন থেকে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।

 

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, ফারিয়া সুলতানা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকেন। চীনা ওই নাগরিকের বোন ঢাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। ফেসবুক এবং ওই নাগরীকের বোনের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি তাদের পারিবারিক ভাবেও জানাশুনা ছিলো বলে জানা গেছে। এরই একপর্যায়ে চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং গত ঈদুল আজহার পরদিন ওই চীনা নাগরিকের বোনের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়ে হয়।

 

কনে ফারিয়া বলেন, সাউই চুইয়ের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে পরিবারের সবারই পছন্দ হয়। আমার পরিবার রাজি থাকায় প্রায় আট মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলি। সাউই চুই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেগুলো দিয়ে তার সঙ্গে আমি কথা বলি। তারপরে গত ২০ দিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।

 

এই নববধূ বলেন, চীনা ভাষা শিখতে আমার আরও সময় লাগবে। আমি চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীনে নিয়ে যাবেন। আমার এক ননদ ঢাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। আমি ও চুই চীন থেকে আবার আসবো। এদেশে ওনার ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। আমাকে বিয়ের আগে উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওনার নাম এখন আব্দুল্লাহ।

 

তিনি আরও বলেন, উনি টুকটাক বাংলা বুঝতে পারেন। তাছাড়া আমরা গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলি। খুব দ্রুত চীনা ভাষা শিখে যাবো।

 

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীন থেকে এসে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা আমি শুনেছি এবং ছেলেটাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় করছে। ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ছেলেটি মেয়েটিকে চীনে নিয়ে যাবে বলে জানতে পেরেছি।

 

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, চীনা ওই নাগরীক ভিজিট ভিসায় দেশে এসেছেন। ঢাকায় এসে জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ভিজিট ভিসার মেয়াদ কম থাকায় তাকে হয়ত খুব দ্রুত দেশে ফিরতে হবে।

Powered by WooCommerce

জীবননগরের তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

আপডেটঃ ০৭:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফারিয়া সুলতানাকে (২৫) বিয়ে করেছেন সাউই চুই (২৮) নামে এক চীনা যুবক । প্রেম মানে না কোনো জাত, কূল বা ভৌগলিক সীমারেখা। তারই প্রমাণ দিলেন চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা যুবক।

 

ফারিয়া সুলতানা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের মেয়ে।

 

সোমবার (১০ জুলাই) স্ত্রী ফারিয়ার সাথে শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আসেন সাউই চুই। তিনি এখানে তিন-চারদিন থেকে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।

 

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, ফারিয়া সুলতানা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকেন। চীনা ওই নাগরিকের বোন ঢাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। ফেসবুক এবং ওই নাগরীকের বোনের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি তাদের পারিবারিক ভাবেও জানাশুনা ছিলো বলে জানা গেছে। এরই একপর্যায়ে চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং গত ঈদুল আজহার পরদিন ওই চীনা নাগরিকের বোনের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়ে হয়।

 

কনে ফারিয়া বলেন, সাউই চুইয়ের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে পরিবারের সবারই পছন্দ হয়। আমার পরিবার রাজি থাকায় প্রায় আট মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলি। সাউই চুই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেগুলো দিয়ে তার সঙ্গে আমি কথা বলি। তারপরে গত ২০ দিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।

 

এই নববধূ বলেন, চীনা ভাষা শিখতে আমার আরও সময় লাগবে। আমি চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীনে নিয়ে যাবেন। আমার এক ননদ ঢাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। আমি ও চুই চীন থেকে আবার আসবো। এদেশে ওনার ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। আমাকে বিয়ের আগে উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওনার নাম এখন আব্দুল্লাহ।

 

তিনি আরও বলেন, উনি টুকটাক বাংলা বুঝতে পারেন। তাছাড়া আমরা গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলি। খুব দ্রুত চীনা ভাষা শিখে যাবো।

 

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীন থেকে এসে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা আমি শুনেছি এবং ছেলেটাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় করছে। ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ছেলেটি মেয়েটিকে চীনে নিয়ে যাবে বলে জানতে পেরেছি।

 

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, চীনা ওই নাগরীক ভিজিট ভিসায় দেশে এসেছেন। ঢাকায় এসে জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ভিজিট ভিসার মেয়াদ কম থাকায় তাকে হয়ত খুব দ্রুত দেশে ফিরতে হবে।