চুয়াডাঙ্গা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দামুড়হুদায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা বাংলাদেশ গড়ি,নাজমুল হামিদ রেজা বিএনপি নেতা বাবু খানের দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান কুড়ুলগাছি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দিবে বিএনপি খুলনা রেঞ্জে পুলিশ সদস্যদের বদলি, পদায়নে লটারি দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা ও বিদায়ী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউএনও মমতাজ মহল-সাংবাদিকেরা সব সময় দেশের কল্যাণে কাজ করে   জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নৌবাহিনীর ৬৭ সদস্যের ঢাকা ত্যাগ দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার

সাবেক এমপি আলী আজগর টগর,ওসি সুকুমার বিশ্বাস সহ ১৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মো. রোকনুজ্জামানকে কৌশলে অপহরণ ও ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নাটক সাজিয়ে তাঁকে হত্যার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলী আজগর টগর ও পুলিশ ইন্সপেক্টর সুকুমার বিশ্বাসসহসহ ১৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

avashnews

 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা আমলি আদালতে মামলাটি করেন নিহত ছাত্রের বাবা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক।

 

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মো. রোকনুজ্জামান ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বেআইনি, অনৈতিক কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এবং ভিন্ন মতের অনুসারী হওয়ায় আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে রোকনুজ্জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

 

আসামি আলী আজগার ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচিত ভুয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আলী আজগারের নির্দেশে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট দুপুরে আসামি সজল বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র রোকনুজ্জামানকে কৌশলে মুঠোফোনে ডেকে দক্ষিণ চাঁদপুর ছটাঙ্গার মাঠে যেতে বলেন। বাবা আবু বকর ছিদ্দিককে জানিয়ে রোকনুজ্জামান আসামি সজলের সঙ্গে ছটাঙ্গার মাঠে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর আসামিরা অস্ত্রের মুখে রোকনুজ্জামানকে অপহরণ করেন।

 

এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজখবর করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে লোকমুখে জানতে পারেন দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলার বখতিয়ার মিয়ার বাঁশবাগানে রাত দুইটার দিকে একজনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে বাদী ছেলে রোকনুজ্জামানের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে তাঁর দাফন করা হয়।

 

মামলায় আরজিতে আরও বলা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রোকনুজ্জামানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে অপহরণ করা হয়। এরপর প্রধান আসামি আলী আজগারের নির্দেশে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা রোকনুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করেন। সন্তানের দাফন শেষে বাদী মো. আবু বকর ছিদ্দিক ৩১ আগস্ট দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। বাদী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকায় বাড়িতে ফিরে মামলা করতে দেরি হয় বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন।

 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস, দামুড়হুদা মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম জাহাঙ্গীর, সহকারী পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার নন্দী ও শেখ রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল দিপু গাঙ্গুলী, খালিদ মাসুদ, নজরুল ইসলাম, শফিউর রহমান ও ফিরোজ ইকবাল এবং আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুরের মাছুম, সুমন, রাজিব ও সজল।

 

এবিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) রেশমা শারমিন পিপিএম-সেবা বলেন, আমাদের কাছে এখনো কাগজ এসে পৌছাইনি। তবে মামলার কপি পেলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দামুড়হুদায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সাবেক এমপি আলী আজগর টগর,ওসি সুকুমার বিশ্বাস সহ ১৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ : ১২:৪০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মো. রোকনুজ্জামানকে কৌশলে অপহরণ ও ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নাটক সাজিয়ে তাঁকে হত্যার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলী আজগর টগর ও পুলিশ ইন্সপেক্টর সুকুমার বিশ্বাসসহসহ ১৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

avashnews

 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা আমলি আদালতে মামলাটি করেন নিহত ছাত্রের বাবা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক।

 

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মো. রোকনুজ্জামান ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বেআইনি, অনৈতিক কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এবং ভিন্ন মতের অনুসারী হওয়ায় আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে রোকনুজ্জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

 

আসামি আলী আজগার ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচিত ভুয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আলী আজগারের নির্দেশে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট দুপুরে আসামি সজল বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র রোকনুজ্জামানকে কৌশলে মুঠোফোনে ডেকে দক্ষিণ চাঁদপুর ছটাঙ্গার মাঠে যেতে বলেন। বাবা আবু বকর ছিদ্দিককে জানিয়ে রোকনুজ্জামান আসামি সজলের সঙ্গে ছটাঙ্গার মাঠে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর আসামিরা অস্ত্রের মুখে রোকনুজ্জামানকে অপহরণ করেন।

 

এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজখবর করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে লোকমুখে জানতে পারেন দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলার বখতিয়ার মিয়ার বাঁশবাগানে রাত দুইটার দিকে একজনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে বাদী ছেলে রোকনুজ্জামানের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে তাঁর দাফন করা হয়।

 

মামলায় আরজিতে আরও বলা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রোকনুজ্জামানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে অপহরণ করা হয়। এরপর প্রধান আসামি আলী আজগারের নির্দেশে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা রোকনুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করেন। সন্তানের দাফন শেষে বাদী মো. আবু বকর ছিদ্দিক ৩১ আগস্ট দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। বাদী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকায় বাড়িতে ফিরে মামলা করতে দেরি হয় বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন।

 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস, দামুড়হুদা মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম জাহাঙ্গীর, সহকারী পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার নন্দী ও শেখ রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল দিপু গাঙ্গুলী, খালিদ মাসুদ, নজরুল ইসলাম, শফিউর রহমান ও ফিরোজ ইকবাল এবং আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুরের মাছুম, সুমন, রাজিব ও সজল।

 

এবিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) রেশমা শারমিন পিপিএম-সেবা বলেন, আমাদের কাছে এখনো কাগজ এসে পৌছাইনি। তবে মামলার কপি পেলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।