চুয়াডাঙ্গা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটি নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে এটিকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়। একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।’ বুধবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ‘অনৈক্য নেই’ উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘স্বার্থের সংঘাত আছে। প্রতিটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলব না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলব, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নেই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়তো আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পর আবার নতুন করে পেয়েছি। একাত্তরের বীর শহীদ, যারা প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা বেঁচে আছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’


প্রসংঙ্গ :
জনপ্রিয়

Powered by WooCommerce

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

আপডেটঃ ০৪:০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটি নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে এটিকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়। একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।’ বুধবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ‘অনৈক্য নেই’ উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘স্বার্থের সংঘাত আছে। প্রতিটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলব না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলব, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নেই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়তো আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পর আবার নতুন করে পেয়েছি। একাত্তরের বীর শহীদ, যারা প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা বেঁচে আছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’