শাকিল হোসেন (৩১)। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন সিকিউরিটি গার্ডের। কিন্তু পরিচয় দেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বা এএসআই হিসেবে। মানুষ যাতে বিশ্বাস করে তাই এই নামে তিনি আইডি কার্ড, পুলিশের ক্যাপ বানিয়েছেন, পুলিশের জুতা এবং ওয়াকিটকিও কিনেছেন। এই ভুয়া পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন, বিয়ের নামে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকেন। কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে যান। এভাবে ৫ টি বিয়ে করেছেন তিনি।
অবশেষে এক স্ত্রীর অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে রাজধানীর মনিপুর কাঁঠালতলা এলাকা থেকে প্রতারক শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) এই তথ্য জানান মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, শাকিল একজন প্রতারক। তার নাম নাম শাকিল হলেও তিনি সবাইকে পরিচয় দেন রানা নামে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করলেও তিনি নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বা এএসআই হিসেবে। মানুষ যাতে বিশ্বাস করে তাই এই নামে তিনি আইডি কার্ড, পুলিশের ক্যাপ বানিয়েছেন, পুলিশের জুতা এবং ওয়াকিটকিও কিনেছেন। এই ভুয়া পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। বিয়ের নামে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকেন। এরপর কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে যান। এভাবে তিনি ৫ টি বিয়ে করেন।
তিনি আরও জানান, তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে যান মিরপুর। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজে নিজেই বিয়ে পড়েন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় মেয়ের কাছে। তাই তিনি ফোন করেন পুলিশের কাছে। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন শাকিল।
তার বাসা থেকে ১টি পুলিশ আইডি কার্ড, ১টি ওয়ারলেস সেট, ১টি পুলিশ ক্যাপ, ১ জোড়া পুলিশের জুতা, ১টি ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা সমমূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার শাকিল নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার থুপ শহর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে বলে জানায় পুলিশ।