১১
দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ এবং ছায়ানটের সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গুণী এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ। মৃত্যুকালে সন্জীদা খাতুনের বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর। জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া এবং কিডনির রোগে ভুগছিলেন।
ছায়ানট থেকে জানানো হয়েছে,আগামীকাল বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে সন্জীদা খাতুনকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রণী এই ব্যক্তিত্ব একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষক ছিলেন। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন সন্জীদা।
তার জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স, বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন থেকে এমএ এবং সেখান থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের ভাবসম্পদ নিয়ে পিএইডি সম্পন্ন করেন ১৯৭৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, নজরুল স্বর্ণপদক, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য উপাধিসহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সন্জীদা খাতুন।
ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত করে ২০২১ সালে। এছাড়াও তিনি ভারত থেকে দেশিকোত্তম অনারারী ডিলিটসহ অসংখ্য দেশি-বিদেশি পুরস্কার পেয়েছেন।