চুয়াডাঙ্গা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ

আল্লাহর কাছে রমজান মাসের দোয়ার আলাদা কদর

দোয়া একটি পৃথক ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)। নবীজি (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট চায় না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৭৩)

তাই সারাবছরই দোয়া করা চাই। তবে আল্লাহর কাছে রমজান মাসের দোয়ার আলাদা কদর রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না- (১) রোজাদারের দোয়া ইফতার করা পর্যন্ত, (২) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া ও (৩) মজলুমের দোয়া। আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া মেঘমালার ওপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাদের সাহায্য করব। (আহমদ: ৯৭৪৩; তিরমিজি: ৩৫৯৮)

 

রোজাদারের জন্য প্রতিদিন ঘোষণা হয়—‘কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী, আমার কাছে ক্ষমা চাও। আমি ক্ষমা করে দেব।’ অন্য হাদিসে এসেছে, ‘রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৩/৭)

 

বিশেষ করে শেষরাত দোয়া ও ইস্তেগগফারের সবচেয়ে উপযোগী সময়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আল্লাহ তাআলা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ রিজিকপ্রার্থী, আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারি: ১১৪৫; মুসলিম: ৭৫৮)

 

সুতরাং আমাদের কর্তব্য- বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। পরিবারের লোকদের সঙ্গে নিয়েও এসব ইবাদত করা যায়। আর ইফতারের সময় খুবই গুরুত্বসহকারে দোয়া করা চাই। এটি দোয়া কবুলের সময়। এ প্রসঙ্গে অন্য হাদিসে এসেছে, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে প্রত্যেক ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতিরাতেই তা হয়ে থাকে। (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)

 

রাসুলুল্লাহ (স.) আরও ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রতি দিবস ও রাতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ৭৪৫০; মুসনাদে বাজ্জার: ৯৬২)

 

তাই আমাদের উচিত, রমজান মাসের এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো। বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে নিজের জন্য পুরো রমজান মাসকে অর্থবহ করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

সেনাপ্রধানের আশা একটি সুন্দর দেশ গড়ার

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

আল্লাহর কাছে রমজান মাসের দোয়ার আলাদা কদর

প্রকাশ : ১১:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

দোয়া একটি পৃথক ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)। নবীজি (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট চায় না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৭৩)

তাই সারাবছরই দোয়া করা চাই। তবে আল্লাহর কাছে রমজান মাসের দোয়ার আলাদা কদর রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না- (১) রোজাদারের দোয়া ইফতার করা পর্যন্ত, (২) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া ও (৩) মজলুমের দোয়া। আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া মেঘমালার ওপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাদের সাহায্য করব। (আহমদ: ৯৭৪৩; তিরমিজি: ৩৫৯৮)

 

রোজাদারের জন্য প্রতিদিন ঘোষণা হয়—‘কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী, আমার কাছে ক্ষমা চাও। আমি ক্ষমা করে দেব।’ অন্য হাদিসে এসেছে, ‘রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৩/৭)

 

বিশেষ করে শেষরাত দোয়া ও ইস্তেগগফারের সবচেয়ে উপযোগী সময়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আল্লাহ তাআলা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ রিজিকপ্রার্থী, আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারি: ১১৪৫; মুসলিম: ৭৫৮)

 

সুতরাং আমাদের কর্তব্য- বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। পরিবারের লোকদের সঙ্গে নিয়েও এসব ইবাদত করা যায়। আর ইফতারের সময় খুবই গুরুত্বসহকারে দোয়া করা চাই। এটি দোয়া কবুলের সময়। এ প্রসঙ্গে অন্য হাদিসে এসেছে, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে প্রত্যেক ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতিরাতেই তা হয়ে থাকে। (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)

 

রাসুলুল্লাহ (স.) আরও ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রতি দিবস ও রাতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ৭৪৫০; মুসনাদে বাজ্জার: ৯৬২)

 

তাই আমাদের উচিত, রমজান মাসের এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো। বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে নিজের জন্য পুরো রমজান মাসকে অর্থবহ করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।