চুয়াডাঙ্গা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা আলমডাঙ্গায় কম্বল চুরি,মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আটক দর্শনায় দু মহিলাকে কুপিয়ে জখম,যুবক আটক রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বেনাপোল-সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চুয়াডাঙ্গায় রুট পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ চুয়াডাঙ্গার সড়কে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে নারী নিহত ঝিনাইদহে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণীর অনশন দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ দর্শনায় বি এন পি নেতাকে কুপালো যুবলীগ কর্মী জীবননগর থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী গ্রেফতার

ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

যশোরের ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তের কারণে অনি রায় নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

 

তবে পরিবারের দাবি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পৌর সদরের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

 

নিহতের ভাই অর্ঘ্য রায় বলেন, প্রতিদিনের মতো তার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য যায়। কোচিং থেকে ফিরে কাওকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর আগে সে তার এক বান্ধবীকে কল দিয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি।

 

অর্ঘ্য দাবি করেন, তার বোন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে। আজ কয়েকজন তার পিছু নিয়েছিল।

 

প্রত্যক্ষদর্শী উর্মি নামের এক মেয়ে বলেন, অনি অনেক জোরে দৌড়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। আর তিনটা ছেলে তার পিছু নিয়েছিল। এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে নিহতের ভাই অর্ঘ্যের সঙ্গে তিন যুবকের ঝগড়া বাঁধে। তার দাবি ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। সেও বি.এম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

 

ঝিকরগাছা বি.এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। তাকে কেউ উত্যক্ত করতো কিনা জানা নেই। সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, অনি রায় নিজ ঘরে মায়ের শাড়িয়ে পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখনও পর্যন্ত উত্ত্যক্ত করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৮:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

যশোরের ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তের কারণে অনি রায় নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

 

তবে পরিবারের দাবি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পৌর সদরের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

 

নিহতের ভাই অর্ঘ্য রায় বলেন, প্রতিদিনের মতো তার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য যায়। কোচিং থেকে ফিরে কাওকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর আগে সে তার এক বান্ধবীকে কল দিয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি।

 

অর্ঘ্য দাবি করেন, তার বোন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে। আজ কয়েকজন তার পিছু নিয়েছিল।

 

প্রত্যক্ষদর্শী উর্মি নামের এক মেয়ে বলেন, অনি অনেক জোরে দৌড়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। আর তিনটা ছেলে তার পিছু নিয়েছিল। এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে নিহতের ভাই অর্ঘ্যের সঙ্গে তিন যুবকের ঝগড়া বাঁধে। তার দাবি ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। সেও বি.এম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

 

ঝিকরগাছা বি.এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। তাকে কেউ উত্যক্ত করতো কিনা জানা নেই। সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, অনি রায় নিজ ঘরে মায়ের শাড়িয়ে পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখনও পর্যন্ত উত্ত্যক্ত করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।