ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় একটি দুর্ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর ভোরে চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছে। এমন একটি খবর দিনভর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। ভাইরাল এই সংবাদ দেখে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ আলোচিত এই নায়িকা।
একই সঙ্গে নায়িকা জানালেন, ইসমাইলের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। পরীর ভাষ্য, ইসমাইল হোসেন জনি আমাদের আত্মীয়। আমার খালাতো ভাই। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। বয়সে যদিও আমার চেয়ে ৫-৬ বছরের বড়, তারপরও আমাদের সম্পর্কটা ছিল খুবই চমৎকার।
এদিকে এবার জানা গেল, সেই ইসমাইলের কবর জিয়ারত করলেন পরীমনি। তিনি বলেন, এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না। সাধারণত মৃত মানুষের মুখ দেখতে পারি না উল্লেখ করে পরী বলেন, এ জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। তবে তার কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি।
গুঞ্জন আছে, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইসমাইলের। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে।