চুয়াডাঙ্গা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনি সুস্থ রাখতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো

মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনি মানব শরীরের রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ফলে কিডনির সমস্যায় ভুগতে হয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মানলে আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতিগুলো-

 

যেভাবে বুঝবেন যে আপনার কিডনির সমস্যা রয়েছে: প্রাথমিক লক্ষণ যা নজরে আসে তা হলো পেট, পা, ফুলে যাওয়া। শরীরে যে টিস্যুগুলো থাকে তাতে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ জমে গেলে শরীর ফুলে যায়। কিডনি ঠিক থাকলে অক্সিজেনের মাত্রা ও পুষ্টির মাত্রা ঠিক থাকে। তাই কিডনিকে ভালো রাখা ও যত্নে রাখা খুবই দরকার।

চিকিৎসকের কথায়, এই দূষিত পদার্থ খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। খাবারের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ শরীরে কম প্রবেশ করলে কিডনির ওপরেও বেশি চাপ পড়ে না।

প্রচুর পানি খান- কিডনিকে ভালো রাখার একটি সহজ উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। পানি পান করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পানি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় যা কিডনির জন্য উপকারি।

স্বাস্থ্যকর খাবার- কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই দরকার। প্রতিদিন তেল মশলা যুক্ত খাবার কিডনিসহ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, চর্বিযুক্ত খাবার কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন কলা, কমলালেবু, পালংশাক কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম- নিয়মিত ব্যায়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমায়। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

রক্তে শর্করার মাত্রা কমান- উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ শর্করার পরিমাণ কিডনির জন্য মোটেই ভালো না। তাই নিয়মিত আপনার ডায়াবিটিসের পরীক্ষা করান। এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খান।

 

ধূমপান ত্যাগ করুন- অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুস, কিডনির ক্ষতি করে। আপনি যদি অতিরিক্ত ধূমপান করে থাকেন তাহলে আজই কিডনির রোগের ঝুঁকি কমাতে তা ত্যাগ করুন।

 

ব্যথার ওষুধ কম খান- ব্যথার ওষুধগুলো বেশি মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই ওষুধগুলো এড়ানোর চেষ্টা করুন বা ডোজ কমান।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

কিডনি সুস্থ রাখতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো

আপডেটঃ ০৭:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনি মানব শরীরের রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ফলে কিডনির সমস্যায় ভুগতে হয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মানলে আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতিগুলো-

 

যেভাবে বুঝবেন যে আপনার কিডনির সমস্যা রয়েছে: প্রাথমিক লক্ষণ যা নজরে আসে তা হলো পেট, পা, ফুলে যাওয়া। শরীরে যে টিস্যুগুলো থাকে তাতে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ জমে গেলে শরীর ফুলে যায়। কিডনি ঠিক থাকলে অক্সিজেনের মাত্রা ও পুষ্টির মাত্রা ঠিক থাকে। তাই কিডনিকে ভালো রাখা ও যত্নে রাখা খুবই দরকার।

চিকিৎসকের কথায়, এই দূষিত পদার্থ খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। খাবারের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ শরীরে কম প্রবেশ করলে কিডনির ওপরেও বেশি চাপ পড়ে না।

প্রচুর পানি খান- কিডনিকে ভালো রাখার একটি সহজ উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। পানি পান করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পানি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় যা কিডনির জন্য উপকারি।

স্বাস্থ্যকর খাবার- কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই দরকার। প্রতিদিন তেল মশলা যুক্ত খাবার কিডনিসহ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, চর্বিযুক্ত খাবার কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন কলা, কমলালেবু, পালংশাক কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম- নিয়মিত ব্যায়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমায়। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

রক্তে শর্করার মাত্রা কমান- উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ শর্করার পরিমাণ কিডনির জন্য মোটেই ভালো না। তাই নিয়মিত আপনার ডায়াবিটিসের পরীক্ষা করান। এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খান।

 

ধূমপান ত্যাগ করুন- অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুস, কিডনির ক্ষতি করে। আপনি যদি অতিরিক্ত ধূমপান করে থাকেন তাহলে আজই কিডনির রোগের ঝুঁকি কমাতে তা ত্যাগ করুন।

 

ব্যথার ওষুধ কম খান- ব্যথার ওষুধগুলো বেশি মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই ওষুধগুলো এড়ানোর চেষ্টা করুন বা ডোজ কমান।