চুয়াডাঙ্গা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার্ট অকেজো হয়ে যেতে পারে যে কারণে

দেশের যুবসমাজের সিংহভাগই অ্যাংজাইটি ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের যুবসমাজের সিংহভাগই অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। যে কারণে আত্মহত্যার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

তবে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি, তা হলো মানসিক অবসাদ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে স্ট্রোক ও হার্টঅ্যাটাকের মতো রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

 

গবেষণা বলছে, মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও স্মোকিংয়ের কারণে হার্টের যতটা ক্ষতি হয়, তার থেকেও বেশিমাত্রায় ক্ষতি মানসিক অবসাদের কারণে। তাই তো দীর্ঘ সময় ধরে কেউ চিন্তায় থাকলে বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করে হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
তকে কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার মানসিক অবসাদ দূর করতে পারে।

 

১.হার্টকে যদি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে হয়, তা হলে প্রতিদিন একটি করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

২. ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ও স্ট্রেসকে দূরে রাখতে জাম খেতে পারেন। জামের অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করা মাত্র টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি মনমেজাজও  চাঙ্গা থাকে।

 

৩. মানসিক অবসাদের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না। যাদের খুব স্ট্রেসফুল কাজ করতে হয়, তাদের প্রতিদিন একটা করে কাঁচা টমাটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

৪. বাঙালির বাড়িতেই এখনও প্রতিদিন মাছ রান্নার রেওয়াজ রয়েছে। যে কারণে খেয়াল করে দেখবেন ব্রেন পাওয়ারের দিক থেকে বাঙালি অনেকের থেকেই বেশ এগিয়ে রয়েছে।

 

৫. স্কুল থেকে ফেরার পর প্রতিদিন যদি আপনার বাচ্চাকে এক বাটি করে দই খাওয়াতে পারেন, তা হলে তাদের শরীরে সরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষভাবে কাজ করে।

৬. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারিকেলে উপকারী ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে।

 

৭. রসুন নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে।

 

৮. পালংশাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অন্দরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমায়।

তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

হার্ট অকেজো হয়ে যেতে পারে যে কারণে

প্রকাশ : ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

দেশের যুবসমাজের সিংহভাগই অ্যাংজাইটি ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের যুবসমাজের সিংহভাগই অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। যে কারণে আত্মহত্যার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

তবে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি, তা হলো মানসিক অবসাদ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে স্ট্রোক ও হার্টঅ্যাটাকের মতো রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

 

গবেষণা বলছে, মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও স্মোকিংয়ের কারণে হার্টের যতটা ক্ষতি হয়, তার থেকেও বেশিমাত্রায় ক্ষতি মানসিক অবসাদের কারণে। তাই তো দীর্ঘ সময় ধরে কেউ চিন্তায় থাকলে বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করে হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
তকে কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার মানসিক অবসাদ দূর করতে পারে।

 

১.হার্টকে যদি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে হয়, তা হলে প্রতিদিন একটি করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

২. ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ও স্ট্রেসকে দূরে রাখতে জাম খেতে পারেন। জামের অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করা মাত্র টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি মনমেজাজও  চাঙ্গা থাকে।

 

৩. মানসিক অবসাদের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না। যাদের খুব স্ট্রেসফুল কাজ করতে হয়, তাদের প্রতিদিন একটা করে কাঁচা টমাটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

৪. বাঙালির বাড়িতেই এখনও প্রতিদিন মাছ রান্নার রেওয়াজ রয়েছে। যে কারণে খেয়াল করে দেখবেন ব্রেন পাওয়ারের দিক থেকে বাঙালি অনেকের থেকেই বেশ এগিয়ে রয়েছে।

 

৫. স্কুল থেকে ফেরার পর প্রতিদিন যদি আপনার বাচ্চাকে এক বাটি করে দই খাওয়াতে পারেন, তা হলে তাদের শরীরে সরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষভাবে কাজ করে।

৬. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারিকেলে উপকারী ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে।

 

৭. রসুন নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে।

 

৮. পালংশাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অন্দরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমায়।

তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই