চুয়াডাঙ্গা ১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Pliwc Job circular 2025 ৪০৮ আরোহী নিয়ে ভারতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান ফ্যাসিবাদ যতই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, পারবে না: জামায়াত আমির দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? | Barta Bazar আমরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী : ড. ইউনূস জীবন বীমা কর্পোরেশন চাকরির খবর JBC Job Circular 2025 তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর, অন্যদের ওএসডির সিদ্ধান্ত

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও তা প্রত্যাশা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল— আমরা অতি দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে উদ্বেগের বিষয়গুলো তার সামনে তুলে ধরব। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেই দায়িত্বটুকু পালন করেছি। আমরা তার সামনে তুলে ধরে বলেছি, যেসব ঘটনা ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারেন না। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনীগুলোর সামনেই এই ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটেছে। যা সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতাকে যথেষ্টভাবে বিপন্ন করেছে। ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিয়েছে এই সম্পর্কে কথা বলার।

তিনি বলেন, এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়েছি। ন্যূনতম যে সংস্কার সেই কাজগুলো করে, রিফর্ম কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে, একমত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখনো প্রশাসনে যেসব ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। যারা অর্থনীতির লুট করেছে, লুণ্ঠন করেছে তাদের টাকা ফিরিয়ে আনা এবং আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি তুলেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৫ বছরে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। তাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। আমরা দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছি, এই সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারা। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি নিয়ে তারা কাজ করছেন।

অভিযান ডেভিল হান্টের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সবশেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তাদেরকে বলেছি— অতীতেও অনেক অভিযান হয়েছে। অতীতের মতো যেন ইনোসেন্ট যারা আছেন তাদের কিছু না হয়। এটা নিয়ে যেন সমস্যা না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যুতে আমরা কোনোভাবেই একমত হব না। খুব পরিষ্কার করে আগেও বলেছি, এখনও বলছি— জাতীয় সরকারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।

এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।



Source link

প্রসংঙ্গ :
avashnews

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর

avashnews

Powered by WooCommerce

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার

আপডেটঃ ১১:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও তা প্রত্যাশা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল— আমরা অতি দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে উদ্বেগের বিষয়গুলো তার সামনে তুলে ধরব। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেই দায়িত্বটুকু পালন করেছি। আমরা তার সামনে তুলে ধরে বলেছি, যেসব ঘটনা ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারেন না। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনীগুলোর সামনেই এই ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটেছে। যা সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতাকে যথেষ্টভাবে বিপন্ন করেছে। ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিয়েছে এই সম্পর্কে কথা বলার।

তিনি বলেন, এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়েছি। ন্যূনতম যে সংস্কার সেই কাজগুলো করে, রিফর্ম কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে, একমত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখনো প্রশাসনে যেসব ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। যারা অর্থনীতির লুট করেছে, লুণ্ঠন করেছে তাদের টাকা ফিরিয়ে আনা এবং আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি তুলেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৫ বছরে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। তাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। আমরা দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছি, এই সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারা। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি নিয়ে তারা কাজ করছেন।

অভিযান ডেভিল হান্টের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সবশেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তাদেরকে বলেছি— অতীতেও অনেক অভিযান হয়েছে। অতীতের মতো যেন ইনোসেন্ট যারা আছেন তাদের কিছু না হয়। এটা নিয়ে যেন সমস্যা না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যুতে আমরা কোনোভাবেই একমত হব না। খুব পরিষ্কার করে আগেও বলেছি, এখনও বলছি— জাতীয় সরকারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।

এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।



Source link