চুয়াডাঙ্গা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

“চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

রবিবার বিকাল ৩ টার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খাঁন।

 

 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। মাদকের উপর আসক্তি কমানোর জন্যই মূলত এই মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলাধুলা করলে মন ও শরীর উভয় ভালো থাকে। খেলাধুলা মাদক থেকে দূরে রাখে। সবারই নিয়মিত খেলাধুলা করা প্রয়োজন। মাদকের কড়াল থাবা থেকে বাঁচতে আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে।

 

আপনার সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিবেন। তাদেরকে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করিয়ে খেলাধূলার প্রতি মনযোগের জন্য সবাইকে উদাত্য আহবান জানান। জেলায় মাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন, এরই ধারাবাহিকতায় আগামীতে জেলার সবাইকে নিয়ে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে বলে তিনি বলেন। মাদকে যারা জড়িয়ে গেছেন তারা তিলে তিলে নিঃশ্বেস হয়ে যাবে। মাদকের কারনে কিশোর গ্যাং চুরি ছিন্তাই বৃদ্ধি পায়। এসময় তিনি খেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

 

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম, ওসি তদন্ত সফিউল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: করিম বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সদর ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ আজম সদু প্রমুখ।

 

 

খেলায় মোট ৪টি দল অংশ গ্রহণ করেন। তারা হলেন নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ, মদনা একাদশ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন একাদশ, কার্পাসডাঙ্গা একাদশ। একই দিনে সব দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ ২-০ গোলে মদনা ইউনিয়ন একাদশকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। পরে দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশ ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ এর মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কোন দল গোল করতে না পারায় খেলাটি শুন্য গোলে ড্র হয় এবং খেলাটি ট্রাইবেকার পর্যন্ত গড়ায়। ট্রাইবেকারে দামুড়হুদা একাদশ ০১ গোল করে এবং কার্পাসডাঙ্গা একাদশ ০৩ গোল দিয়ে ফাইনালে উতীর্ণ হন।

 

 

পরে কার্পাসডাঙ্গা বনাম নতিপোতা একাদশের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ১-০ গোলে নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশকে হারিয়ে চাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। রানার্সআপ হয় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চাম্পিয়ান দলকে চাম্পিয়ান টফি ও রানার্সআপ দলকে রানার্সআপ টফি প্রদান করেন।

 

 

খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাসুদুর রহমান খোকন, সহকারী রেফারি ছিলেন, ইউসুফ আলী এবং তিতুয়ার রহমান। খেলায় ধারাভাষ্য দেন উদীয়মান ধারাভাষ্যকার মো: শামীম খাঁন।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

দামুড়হুদায় প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

আপডেটঃ ০৬:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

“চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

রবিবার বিকাল ৩ টার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খাঁন।

 

 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। মাদকের উপর আসক্তি কমানোর জন্যই মূলত এই মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলাধুলা করলে মন ও শরীর উভয় ভালো থাকে। খেলাধুলা মাদক থেকে দূরে রাখে। সবারই নিয়মিত খেলাধুলা করা প্রয়োজন। মাদকের কড়াল থাবা থেকে বাঁচতে আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে।

 

আপনার সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিবেন। তাদেরকে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করিয়ে খেলাধূলার প্রতি মনযোগের জন্য সবাইকে উদাত্য আহবান জানান। জেলায় মাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন, এরই ধারাবাহিকতায় আগামীতে জেলার সবাইকে নিয়ে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে বলে তিনি বলেন। মাদকে যারা জড়িয়ে গেছেন তারা তিলে তিলে নিঃশ্বেস হয়ে যাবে। মাদকের কারনে কিশোর গ্যাং চুরি ছিন্তাই বৃদ্ধি পায়। এসময় তিনি খেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

 

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম, ওসি তদন্ত সফিউল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: করিম বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সদর ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ আজম সদু প্রমুখ।

 

 

খেলায় মোট ৪টি দল অংশ গ্রহণ করেন। তারা হলেন নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ, মদনা একাদশ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন একাদশ, কার্পাসডাঙ্গা একাদশ। একই দিনে সব দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ ২-০ গোলে মদনা ইউনিয়ন একাদশকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। পরে দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশ ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ এর মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কোন দল গোল করতে না পারায় খেলাটি শুন্য গোলে ড্র হয় এবং খেলাটি ট্রাইবেকার পর্যন্ত গড়ায়। ট্রাইবেকারে দামুড়হুদা একাদশ ০১ গোল করে এবং কার্পাসডাঙ্গা একাদশ ০৩ গোল দিয়ে ফাইনালে উতীর্ণ হন।

 

 

পরে কার্পাসডাঙ্গা বনাম নতিপোতা একাদশের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ১-০ গোলে নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশকে হারিয়ে চাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। রানার্সআপ হয় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চাম্পিয়ান দলকে চাম্পিয়ান টফি ও রানার্সআপ দলকে রানার্সআপ টফি প্রদান করেন।

 

 

খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাসুদুর রহমান খোকন, সহকারী রেফারি ছিলেন, ইউসুফ আলী এবং তিতুয়ার রহমান। খেলায় ধারাভাষ্য দেন উদীয়মান ধারাভাষ্যকার মো: শামীম খাঁন।